ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলির শর্ত শিথিল করতে নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাসকে কমিটির প্রধান করে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, শিগগিরই কমিটি সভা করে শিক্ষক বদলির পুরনো নীতিমালা পর্যালোচনা করবে। এর ফলে বদলির বাধাগুলো দূর হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে বলেন, রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি হওয়ার পর সে সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে বাধা রয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর চিঠি চালাচালির পর অধিদফতর আগের নীতিমালা অনুসরণ করার পরামর্শ দিলেও তা সুরাহা হয়নি।
আগের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক থাকলে ওই বিদ্যালয়ে বদলি করা যাবে না। এক্ষেত্রে অধিদফতরের উপপরিচালক বা ঊর্ধ্বতন কেউ বদলির সুপারিশ করতে পারেন।
এ ছাড়া নারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে স্বামীর ঠিকানায় বদলির নিষিদ্ধ রয়েছে। নীতিমালা সংশোধন করে তা শিথিল হবে।
মন্ত্রী-এমপির ডিও লেটার বা তদবিরেও বদলি অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। আবেদনে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বদলি করা হয়। এ বিষয়টিও নিষ্পত্তি হবে।
ঢাকার পাশের কেরানীগঞ্জ ও সাভার থেকে যেমন সিটি কর্পোরেশনে বদলি হয়ে আসতে পারেন না, তেমনি সিটি কর্পোরেশন, জেলা ও উপজেলা সদর, পৌরসভার বিদ্যালয়ে পদ শূন্য থাকলেও বদলি নিষিদ্ধ রয়েছে।
বিশেষ প্রয়োজন বা মানবিক দিক বিবেচনায়ও শিক্ষকদের বদলি হতে না পারায় শিক্ষকরা নিরুৎসাহিত হন বলে জানান একজন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি জানান, এতে নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হয়। গত বছরের মাঝামাঝি নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
এদিকে, কমিটি সভা করার আগে কোনো মন্তব্য করেননি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
তবে শিগগিরই তারা সভা করবেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫