ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয় সদর উপজেলার ২৯ মাইল এলাকায় মালবাহী একটি পিকআপ ভ্যানে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে চালক নাজমুল ইসলাম অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের সদর উপজেলার ২৯ মাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ-বিজিবি অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করেছে।
নাজমুল কুষ্টিয়া জেলার শিবপুর উপজেলার সাহেবগড় গ্রামের ইউনুস প্রমাণিকের ছেলে। তিনি রাতে বগুড়ার মির্জাপুর থেকে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে আসছিলেন।
আহত নাজমুল বলেন, বগুড়া থেকে পিকআপ ভ্যানে করে মুরগির বাচ্চা নিয়ে আমি ও ভগ্নিপতি মনিরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁওয়ে আসছিলাম। পথে ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের সদর উপজেলার ২৯ মাইল এলাকায় পৌঁছুলে ১৫-২০ জন যুবক গাড়ির সামনে কাঠের গুঁড়ি ফেলে গতিরোধ করে। ঘন কুয়াশায় পরিষ্কার করে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছিলো না। তবে তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখেই আমি গাড়ি ব্যাক গিয়ার দেই। দুর্বৃত্তরা দৌড়ে গাড়ির কাছে এসে পেট্রোল ঢালে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় আমি গাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তারা বাইরে থেকে গেট লক করে দেয়। ভগ্নিপতি অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে দুর্বৃত্তদের কাছে কাকুতি মিনতি করলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। তিনি সরে গেলে কোপটি গাড়িতে লাগে। পুরো গাড়িতে আগুন লাগার পর দুর্বৃত্তরা সরে গেলে অনেক কষ্টে আমি বের হই।
সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে দগ্ধ নাজমুল বাংলানিউজকে এ কথা জানান। এসময় তিনি দোষীদের গ্রেফতার করে বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে দগ্ধ নাজমুলের ভগ্নিপতি মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ৩৫ জনকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ-বিজিবি অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করে।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল শুভেন্দু দেব নাথ বলেন, তার অবস্থা শংকামুক্ত নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর অথবা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আটজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫