ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

লন্ডনে জিসিএম রিসোর্সেসের এজিএম অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
লন্ডনে জিসিএম রিসোর্সেসের এজিএম অনুষ্ঠিত

ঢাকা: লন্ডনে ফুলবাড়ী কয়লা ক্ষেত্রের অনুসন্ধান লাইসেন্স ও মাইনিং লিজধারী এশিয়া এনার্জির প্যারেন্ট কোম্পানি জিসিএম রিসোর্সেসের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।



এতে বলা হয়, ১৮ ডিসেম্বর, শুক্রবার লন্ডনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মালয়েশীয় ব্যবসায়ী দাতো মাইকেল ট্যাংকে কোম্পানির  চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত করা হয়।

মাইকেল ট্যাং বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার কয়লা থেকে ১৯হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, জিসিএম-এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি এশিয়া এনার্জির মাধ্যমে এ উদ্যোগের অংশ হতে চায়।

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘ মানব উন্নয়ন রিপোর্ট-২০১৫ অনুযায়ী বিশ্বের ১৮৮দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪২তম।

জিসিএম চেয়ারম্যান এশীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান এবং ভবিষ্যতে কয়লার জোড়ালো ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বিশ্বের ২৭টি দেশে চীনের সরকারি সংস্থাগুলো ৯২টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উন্নয়ন করছে, যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১০৭ গিগাওয়াট।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসব প্রকল্পের বেশিরভাগ অর্থসহায়তা দিচ্ছে চীনা এক্সিম ব্যাংক। দক্ষিণ কোরিয়া ও  জাপান তাদের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াচ্ছে আর ভারত ঘোষণা করেছে দেশটি ২০২০ সালের মধ্যে কয়লা উৎপাদন দ্বিগুণ করতে মাসে একটি করে কয়লাখনি চালু করার পর্যায়ে রয়েছে।

সাম্প্রতিক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া মিলে বিশ্বের নতুন আহরিত কয়লার ৭১শতাংশ ব্যবহার করছে। আর পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের মতো দেশ শিগগির এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ হার ৮০ শতাংশে নিয়ে যাবে।

ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র বিপর্যয়ে পারমাণিক কার্যক্রম কমানোর প্রেক্ষিতে জাপান আগামী এক দশকে ৪১টি নতুন কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে।

জিসিএম এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি গ্যারি লাই বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হলেও কার্বন ডাই অক্সাইডসহ গ্রিন হাউস গ্যাসের উল্লেখযোগ্য নির্গমণকারী নয়। বাংলাদেশের মাথাপিছু কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের মাত্রা এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।

এমনকি ফুলবাড়ী প্রকল্পে ৪ হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরও বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম কম কার্বন নির্গমণকারী দেশ হিসেবে থাকবে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।