ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্বাস্থ্যসেবায় বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
স্বাস্থ্যসেবায় বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালকে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।



স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালকে অ্যাম্বুলেন্স ১০টি অনুদান হিসেবে দেয় নিটল-টাটা।
 
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট যখন স্বাস্থ্যখাতে সহায়তা করছেন তখন অন্য ব্যবসায়ীরাও এগিয়ে আসবেন। আরও অনেকে আগ্রহী হবেন বলেও আশা করি।

তিনি বলেন, বেসরকারি উদ্যোক্তারা যদি এগিয়ে আসে- তাহলে আরও ভালো হয়। আসলে সবাই মিলে এগিয়ে এলে একটা দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
 
অ্যাম্বুলেন্স অনুদানের জন্য নিটল-টাটার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে যেখানে এসব অ্যাম্বুলেন্স যাচ্ছে সেখানকার মানুষ এর থেকে উপকৃত হবে।
 
যেসব জায়গায় সড়ক পথে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে পারে না সেসব এলাকার জন্য জলপথের অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
 
মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা মানুষের স্বাস্থ্যসেবাসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

খাদ্য, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, আবাসন ও শিক্ষাসহ মানুষের সব মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতের লক্ষ্যে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
 
মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধ‍ানমন্ত্রী বলেন, কথায় বলে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। একটি জাতিকে উন্নত করতে সুস্বাস্থ্যের বিকল্প নেই।
 
কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ সরবরাহের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
 
এ সময় ৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী ও ১৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। অ্যাম্বুলেন্সের নিয়মিত মেইনটেন্যান্সের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে একটা ফান্ড তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।
 
অ্যাম্বুলেন্সগুলো সঠিক ও যত্ম সহকারে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

যেসব প্রতিষ্ঠানে অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করা হয় সেগুলো হলো- শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের জন্য ১টি, পটুয়াখালী, শেরপুর ও দিনাজপুর সদর হাসপাতালের জন্য তিনটি, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে একটি।

এছাড়া বাগেরহাটের মংলা, রংপুরের পীরগঞ্জ, বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি, খাগড়াছড়ির রামগড় ও জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য ১টি করে মোট ৫টি অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করা হয়।
 
অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ, ভারতের টাটা মটর্‌স লিমিটেডের হেড অব ইন্টারন্যাশনাল বিসনেস জনি ওমেন।
 
এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাজী আকরামুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।