ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে রাষ্ট্রকেই উদ্যোগী হতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে রাষ্ট্রকেই উদ্যোগী হতে হবে ছবি: জিএম মুজিবুর

রাষ্ট্রকেই দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে উদ্যোগী হতে হবে বলে জানিয়েছেন বক্তারা। অন্যথায় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

ঢাকা: রাষ্ট্রকেই দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে উদ্যোগী হতে হবে বলে জানিয়েছেন বক্তারা। অন্যথায় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘পেভিং দ্য ওয়ে টু লিবারেশন’ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সংক্রন্ত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও সংবিধানে জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রেতাত্মা রয়েছে বলে এখানেও পাকিস্তান আমলের মতোই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।

রানা দাশ বলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে শুধু সংখ্যালঘু আন্দোলন নয়, এটা নাগরিক আন্দোলনে পরিণত হওয়া উচিত। সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাদের ক্ষমতায়ন ও অধিকার নিশ্চিত করা দরকার। সরকারকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।

কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার ও জনসাধারণের উদ্যোগী হতে হবে। আরও বেশি গবেষণা করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন আমলাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হওয়া উচিৎ। রাষ্ট্র সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে উদ্যোগী হবে। অন্যথায় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত গবেষণাপত্রে সংখ্যালঘুদের ধরন, সম্পর্ক, ধারণা লাভ ও তাদের ওপর বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের ঘটনা গুরুত্ব পেয়েছে। গবেষণায় বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের অধিকার সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাদের অধিকার আদায়ে সরকারের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।