ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘সম্মান কেউ রক্ষা করে দেয় না’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
‘সম্মান কেউ রক্ষা করে দেয় না’ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আনিসুল হক-ছবি-কাশেম হারুন

ঢাকা: জেলা প্রশাসন কর্মকর্তারা পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি ও জিপি) যথাযথ সম্মান দেন না বলে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের কাছে নালিশ জানিয়েছেন তারা। সম্প্রতি একজন ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) একজন পিপিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়াকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন তারা। একইসঙ্গে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ভাতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিন দিনব্যাপী ‘পিপি ও জিপি’দের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনের পর আইনমন্ত্রীর কাছে তারা এ নালিশ করেন।
 
এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সম্মান কেউ রক্ষা করে দেয় না।

যার সম্মান তাকেই রক্ষা করতে হয়। আপনারা জেলার প্রধান আইন কর্মকর্তা। আপনাদের সম্মান ধরে রাখা ও অক্ষুণ্ন রাখার দায় আপনাদের। আপনারা যদি সেটা রক্ষা করতে না পারেন, তবে সে দোষ আপনাদের।
 
তিনি বলেন, তবে কেউ যদি আপনাদের ওপর অন্যায় কিছু করে, তখন আইনমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয় আপনাদের পক্ষে থাকবে।
 
মন্ত্রী বলেন, আইন মন্ত্রণালয় বা আমি কখনও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আপনাদের চিঠি দেই না। বরং আপনাদের মাধ্যমে তাদের খবর পাঠাই। এখন আপনারা যদি সেই সম্মান ধরে রাখতে না পারেন, সে দায় আপনাদের।
 
আনিসুল হক বলেন, আমার বাবা আইনজীবী ছিলেন। আমিও আইনজীবী। আমি আপনাদের বিষয়ে সব জানি। আপনাদের বেতন ভাতা (৫০০ ও ২৫০) সম্পর্কে আমি নিজ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি। তাকে খুলে বলেছি। তিনি অবাক হয়েছেন। এ সম্পর্কে ব্যবস্থা নিতে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী বাজেটে এ নিয়ে বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
 
এর আগে আইনমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের ভূসম্পত্তিসহ সব স্বার্থ দেখার দায়িত্ব আপনাদের। আপনারা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। জনগণের এক্সেস টু জাস্টিস কার্যকর করতে আপনাদের বড় ভূমিকা থাকতে হবে। কিন্তু শুনতে পাই, আপনারা অযথা সময় পার করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য না নিয়ে, সময় চেয়ে ফিরিয়ে দেন।
 
তিনি বলেন, আমি বলবো না ৩০ লাখ মামলার জট একদিনে তৈরি হয়েছে এবং এটা আপনারা করেছেন। কিন্তু এটা আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে। কোনো সরকারই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা চেষ্টা করছি। এজন্য বিচারকের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। আগে এক ব্যাচে ১০০ বিচারক নিয়োগ হতো। এখন ৩০০ জন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নিয়োগ দিলেই তো হবে না। এদের অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত হওয়ারও সময় দিতে হবে। অন্যদিকে আদালতের বাইরে মামলা আসলে তা মীমাংসার ব্যবস্থা নিতে হবে আইনজীবীদেরই। এতে আদালতের ওপর চাপ কমবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
আরএম/আরআর
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।