ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যশোরে ছিনতাইকালে আটক ২, এএসআই ক্লোজড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৮
যশোরে ছিনতাইকালে আটক ২, এএসআই ক্লোজড

যশোর: যশোরের ঝিকরগাছায় দশ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। এদের মধ্যে কাজী জহিরুল হক নামে একজনকে কোতোয়ালি মডেল থানার কনস্টেবল বলে দাবি করছে জনতা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহ আলম নামে একই থানার এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর-বেনাপোল সড়কের ঝিকরগাছার বেনেয়ালী এলাকায় ছিনতাইয়ের ওই ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়। আর রাতে জানা যায় এএসআইকে প্রত্যাহারের খবর।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রশাসনিক কারণে এএসআই শাহ আলমকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে বলে শুনেছি। ’ 

তবে ঝিকরগাছার ঘটনায় কাজী জহিরুল হক জনতার হাতে আটক হওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি আবু সালেহ মাসুদ করিম বাংলানিউজকে বলেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ফড়কি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে কাজী জহিরুল হক এবং যশোর শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার জাহাঙ্গীর সরকারের ছেলে জীবন সরকারকে আটক করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আটক কাজী জহুরুল হক পুলিশ সদস্য কিনা সেটা জানা নেই। তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে বেনেয়ালী এলাকায় সাদা পোশাকে ছয় ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে যশোরগামী একটি পিকআপ থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। একপর্যায়ে ওই পিকআপে থাকা ব্যাগ ভর্তি ৩০ লাখ টাকা জোর করে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পিকআপ আরোহীদের চিৎকারে স্থানীয় জনতা পুলিশ পরিচয়দাতা সাদা পোশাকধারীদের ঘিরে ফেলে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনজন ১০ লাখ টাকার একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলে দ্রুত ঝিকরগাছার দিকে পালিয়ে যায়। তবে বাকি তিনজনকে স্থানীয়রা আটক করে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।  

স্থানীয়দের অভিযোগ, আটক তিনজনের মধ্যে কাজী জহিরুল, এএসআই শাহ আলম এবং জীবন সরকার ছিলেন, কিন্তু পরে পুলিশ এএসআই শাহ আলমকে ছেড়ে দেয়।  

অবশ্য, এ অভিযোগ অস্বীকার করেন ঝিকরগাছা থানার ওসি।

একটি সূত্রে জানা যায়, বেনাপোলের রোশা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হুন্ডির মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা পাচার করছিল। বিষয়টি সোর্সের মাধ্যমে এএসআই শাহ আলমসহ অন্যরা জানতে পেরে যশোর-বেনাপোল সড়কে অবস্থান নেন।

বাংরাদেশ সময়: ০৪২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
ইউজি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।