ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও আন্দোলন চালানোর ঘোষণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৮
শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও আন্দোলন চালানোর ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষকদের অনশন ভাঙতে প্রেসক্লাবে শিক্ষামন্ত্রী/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিভুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে প্রেসক্লাবে আন্দোলনরত শিক্ষকদের অনশন ভাঙতে এসে শিক্ষামন্ত্রী এ আশ্বাস দেন।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

কিন্তু শিক্ষকরা ‘না’ ‘না’ স্লোগানে তা প্রত্যাখ্যান করেন।

শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনাদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। নীতিমালা করে আপনাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। এর জন্য কিছুটা সময় লাগবে। আমরা অনেক চেষ্টা করে অর্থমন্ত্রীকে এ বিষয়ে সম্মত করছি।

এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকরা বলেন, ‘এর আগেও একাধিকবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিলো। নীতিমালার কথা বলে আমাদের রাজপথ ছাড়া করেছেন। এ সব নীতিমালায় আমরা বিশ্বাসী নয়। আমরাও অনেকবার নীতিমালা দিয়েছি।

শিক্ষকরা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা বাড়ি ফিরে যাবেন না। এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, অনশনে মৃত্যুর খবর শোনার আগেই প্রধানমন্ত্রী এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেবেন।

দীর্ঘদিন থেকে এমপিওভুক্তির দাবি আদায়ে আন্দোলন করছে নন-এমপিও শিক্ষকরা। বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। এরপরও ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি অথবা বাড়তি ভাতার ব্যবস্থায় কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি।

ফলে ২৬ ডিসেম্বর থেকে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষকরা। পাঁচদিন অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর ৩১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা।

টানা আটদিনের আন্দোলনে এরইমধ্যে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেককেই স্যালাইন দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এমসি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।