ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

উৎসাহ উদ্দীপনায় চলছে বিজয়ের ৪৭ বছর উদযাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮
উৎসাহ উদ্দীপনায় চলছে বিজয়ের ৪৭ বছর উদযাপন উৎসাহ উদ্দীপনায় চলছে বিজয়ের ৪৭ বছর উদযাপন, ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণের মধ্যে দিয়ে রাজশাহীতে বিজয়ের ৪৭ বছর উদযাপিত হচ্ছে।

রাজশাহীবাসী যেমন মেতেছেন বিজয়ের আনন্দে তেমনি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরেই রাজশাহীর প্রতিটি শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে।

রাজশাহী মহানগরীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনার ও রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তব অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদ মিনারে ভোর ৬টায় প্রথমেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর রহমান।

এরপর জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক এম খুরশীদ হোসেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারও।

এছাড়াও পুলিশের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রেঞ্জ এবং জেলা আনসার, বনবিভাগ, বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও ডাকবিভাগসহ বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এর আগে রাজশাহীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। পরে সেখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এসময় দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকে জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আলোকসজ্জা করা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে প্রদর্শন করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রও। জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনও দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে মেয়র একাদশ বনাম বিভাগীয় কমিশনার একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এছাড়া বিকেলে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেবে সিটি করপোরেশন।

এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজশাহীর সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওয়ার্ড-কার্যালয়গুলো থেকে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭মার্চের ভাষণ এবং দেশাত্ববোধক গান।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সব সরকারি হাসপাতাল, শিশুসদন ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিবেশন করা হচ্ছে উন্নতমানের খাবার।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।