ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শীতের কামড়ে খুলনায় জনজীবন বিপর্যস্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
শীতের কামড়ে খুলনায় জনজীবন বিপর্যস্ত শীতে কাবু,ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনায় জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। টানা তিনদিন ধরে শীতের প্রচণ্ড তীব্রতা অনুভব করা যাচ্ছে।

এদিকে শীত জেঁকে বসায় শংকিত হয়ে পড়ছেন নিম্নআয়ের মানুষরা। শীত মৌসুমের প্রথমে কিছুটা কম থাকলেও গত দু’দিনে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ার কারণে শীত জেঁকে বসেছে ও মৃদু বাতাস বইছে।

শীতের কামড়ে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। প্রচণ্ড শীতের কারণে খুলনার মানুষের জনজীবন থমকে পড়েছে। খুলনায় কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল, ছবি: বাংলানিউজশৈত্যপ্রবাহ ও মৃদু বাতাসের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। তীব্র শীতের কারণে গরম কাপড়ের ব্যবসায়ীরা ক্রেতার সাড়া পাচ্ছেন। তবে বিপাকে পড়েছেন সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় থাকা প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। তারা বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে শীতের মধ্যেও চালাচ্ছেন গণসংযোগ।  

 আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফেথাই’র প্রভাবে বাংলাদেশের আবহাওয়া কিছুটা বৈরী হয়েছে। এ কারণে সোমবার সকাল থেকে আকাশ অনেকটাই গোমড়া ছিলও। সেসঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে এই বৃষ্টি মঙ্গলবারও হয়েছে। বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে শীতের তীব্রতা কমেনি।

খুলনার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রচণ্ড শীতের কারণে হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে আসছে শিশু থেকে বিভিন্ন বয়সের লোকজন। প্রতিদিন তাদের সংখ্যাও বাড়ছে। শীতের তীব্রতা আরো কয়েকদিন একই অবস্থায় থাকলে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরকারি চাকরিজীবী হারুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, পৌষের প্রারম্ভের এমন বৃষ্টি জাঁকিয়ে বসায় সকালে অফিসে যেতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।

তিনি জানান, হাড় কাঁপানো শীত কিছুক্ষণের জন্য সূর্য উঁকি দিলেও তাতে তেমন তেজ নেই। দিনভর বাতাসে শীতের দাপট। বেলা গড়াতেই বাড়তে থাকে ঠাণ্ডা। ঘর থেকে বেরোলেই শরীরে কাঁপন ধরায়। শীত ও ঘন কুয়াশায় কাবু জনজীবন। খুলনায় কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল, ছবি: বাংলানিউজঅপরদিকে নগরী ঘুরে দেখা গেছে, শীতের আক্রমণে মানুষ রীতিমতো জবুথবু। গায়ে গরম কাপড় ও টুপি পরে তারা শীতের দাপট থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও বস্তিগুলোর সামনে ছিন্নমূল মানুষ কাগজ-খড়কুটো পুড়িয়ে একটু উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। খেটে খাওয়া মানুষ পাচ্ছেন না ঠিক মতো কাজ।

হতদরিদ্র মতিউর রহমান বাংলানিউজ বলেন, গরিবের জন্য এ দুনিয়ায় কেউ নাই। প্রতিবারই কম্বল পাই। এবার তোও কেউ দেয়নি। আল্লাহ কপালে রাখলে বাঁচমু, আর না হইলে শীতের মইধ্যেই একদিন মইরা যামু।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফেথাই’র প্রভাব ও পুরোপুরি শীত মৌসুম চলে আসায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমছে। বুধবার খুলনার তাপমাত্রা ১৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি জানান, শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়বে। সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসবে শৈত্যপ্রবাহ।

বাংলাদেশ সময়:  ১২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।