ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় নতুন সূর্যকে অভিবাদন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৯
সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় নতুন সূর্যকে অভিবাদন নতুন সূর্যকে অভিবাদন

ঢাকা: সূর্যমামার ঘুম ভাঙতে তখনো বাকি। তবে তার আগেই ডাকাডাকি করে সবার ঘুম ভাঙানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে পাখিরা। 

ততক্ষণে লেপের ওমটুকু ঝেড়ে ফেলে ফজরের নামায অথবা সকালের হা‍টাহাটি করার জন্য বাইরে বেরিয়ে এসেছে অনেকেই। তাদের মুখে আলো ফেলেই শীতের ভোরে কুয়াশার চাদর ভেদ করে উদয় হলো নতুন বছরের প্রথম সূর্যের।

শীত মোড়া সকালে উঁকি দিয়ে সেই সূর্য জানান দিয়ে যায় নববর্ষের প্রথম প্রহরের।

মঙ্গলবার (০১ জানুয়ারি) সকালে অতীতের সব অকল্যাণকে পেছনে ফেলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা নিয়ে হাজির হলো নতুন বছরের সূর্য। এই নতুন সূর্যের আলোয় নতুন করে ভাবার, নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাবে মানুষ। অন্য সব বছরের মতো ২০১৯ সালেও দিন আসবে, দিন যাবে। তবে এর মধ্য দিয়েই আসবে সফলতা। নতুন সূর্যকে অভিবাদন জানিয়েই শুরু হবে নতুনভাবে পথচলার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে বছরের প্রথম দিন সূর্যদয় হয় সকাল ৬টা ৪৩ মিনিটে। উদয়ের পর থেকেই লাল টকটকে সে সূর্য ফুরফুরে বাতাস আর পাখির কলতানে মিশিয়ে দিলো নতুন বছরের ঘ্রাণ। রোদেলা সে সকাল, নীল আকাশ, সবুজ বন, সোনালি ধানখেত আর মাছ ধরা নৌকার রঙিন ছবি সামনে রেখে সূর্যদেবের তখন কিছু সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরে আসা। এদিকে শেষ সূর্যাস্তেই পেরিয়ে গেছে মহাকালের আরও একটি বছর ২০১৮।

...বছরের প্রথম সূর্য দর্শনের পর নতুন সূর্যের হাসির সঙ্গে সাধারণ মানুষের হাসিও যেনো একই রকম অপরূপ। নতুন সূর্য নিয়ে শুরু মানুষের নতুন স্বপ্ন দেখা। হাজারটা বাঁধা পেরিয়েও শীতের ভোরে কুয়াশার চাদর ভেদ করে নতুন বছরের প্রথম সূর্যের মতোই নতুন হবে সেসব স্বপ্নের উদয়। এ সম্পর্কে কথা হয় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা জায়েদ আব্দুল্লাহর সঙ্গে। সকালে নিয়মিত হাটার সাথে আজ তিনি সূর্যটার দিকেও মনোযোগী।

কথা হলে জায়েদ আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, নতুন বছরের প্রেরণায় মানুষ চাইবে তার নতুন দিনের জীবনযাপন সততার আলিঙ্গনে নির্মল প্রশান্তিতে অতিবাহিত হোক। মানুষের মনে নতুন বছরের স্বপ্ন নতুনের আহ্বানে খেলা করে। গেল বছরের পুরনো জীর্ণতাকে মুছে ফেলে মানুষ বিশ্বাস করে নতুন বছরের প্রাপ্তিযোগ হবে গত বছরের চেয়ে অনেক অনেক ফলদায়ক।

আরেক বাসিন্দা তাহমিনা আক্তার বলেন, মানুষ স্বপ্ন দেখে। কেননা মানুষ স্বাপ্নিক চেতনার নির্মল আলোতে স্নান সেরে ভালো বিষয়-আশয় কামনা করে। সম্প্রতি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। আমরা সাধারণ মানুষ শান্তি চাই। লাশ চাই না। দুই দল অনমনীয় অবস্থা থেকে সরে আসুক। দেশকে ও মানুষকে ভালোবাসুক, এটাই নতুন বছরের প্রত্যাশা।

...রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন- ‘প্রথম দিনের সূর্য/ প্রশ্ন করেছিল/ সত্তার নূতন আবির্ভাবে/ কে তুমি?’ সেই নূতনকে খুজতেই কোটি শিক্ষার্থীর হাতে উঠবে নতুন বই। তারা স্বপ্ন দেখবে এমন একটি জাতির, যার সংস্কৃতি নতুন বছরে বাঙালিয়ানার দীপ জ্বালিয়ে রাখে ঘরে ঘরে। সেখানে মেঘনার বুকে ভাসিয়ে দেওয়া হয় বেলুন আর কাগজের নৌকা।

শেষ বছরের থার্টি ফাস্ট শেষেই শুরু হয় নতুন ভোরের। আনন্দ আর শান্তির বার্তা নিয়ে কুয়াশা ভেদ করে পূর্ব দিগন্তে সূর্যের আগমণ। এ প্রহরেই পুরনো বছরের সকল জরা-জীর্ণতাকে পেছনে ফেলে শুরু নতুনের আবাহন। কুয়াশাচ্ছন্ন শীতে নতুন বছরকে বরণের আয়োজন। নগরীর পাড়া-মহল্লায় এখন হৈ-হুল্লোড়, উৎসবের ঢং।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৯
এইচএমএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।