ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ক্লাস থ্রি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকা উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
ক্লাস থ্রি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকা উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং

ঢাকা: পরীক্ষা নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে বেশি বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। শিশুদের বইয়ের ভার থেকে মুক্ত করতে হবে। বাচ্চাদের পরীক্ষার ভার কমান। ক্লাস ওয়ান থেকে থ্রি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকা উচিত নয়। 

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

পড়াশোনার চেয়ে বাচ্চাদের বেশি বেশি খেলাধুলার পরিবেশ গড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিশুদের পরীক্ষার ভার কমাতে বলেছেন। বাচ্চাদের পরীক্ষা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। বইয়ের ভার থেকে বাচ্চাদের মুক্ত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পিইসি পরীক্ষা বা পঞ্চম শ্রেণির জন্য পক্ষে-বিপক্ষে দুই ধরনের মত রয়েছে, এটা নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫৪টি বিদ্যালয়ের ২ হাজার ৯৭৫টি কক্ষ নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে। ১৭৭টি বিদ্যালয়ের ১১৬৭টি কক্ষের অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ ও উত্তরাতে ৩টি ও পূর্বাচলে ১১টিসহ মোট ১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপন করা হবে।

শতভাগ ভর্তি ও শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটানো নিশ্চিতকরণ, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, উচ্চশিক্ষা ও পরিপূর্ণ উন্নতির ধারাবাহিকতার মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করা, প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থীর জন্য শিশুবান্ধব শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ শিক্ষার মান বাড়াতে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন।

এছাড়া ব্যয় কমিয়ে আবারও সংশোধন করা হলো ‘চামড়া শিল্পনগর’ প্রকল্প। ১ হাজার ৭৮ থেকে প্রকল্পের ব্যয় কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৫ কোটি টাকা। ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকল্পটি শুরু হয়। নতুনভাবে জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রকল্প প্রসঙ্গে এমএ মান্নান বলেন, একটি নয় দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে প্রকল্পের কাজ চলমান। জুন ২০২০ সালের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরে প্রকল্পের সময় আর বাড়ানো যাবে না। হাজারীবাগে কিছু লোক চামড়া দিয়ে বাইপ্রডাক্ট তৈরি করতো। সাভারেরও এমন ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে এখানে অনেকে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।  

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা একনেক সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।