ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজনীতির কলুষ শাকিলকে কোনোভাবেই স্পর্শ করেনি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
রাজনীতির কলুষ শাকিলকে কোনোভাবেই স্পর্শ করেনি মাহবুবুল হক শাকিলের ৫১তম জন্মোৎসবে বক্তব্য রাখছেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী, প্রয়াত কবি ও সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুল হক শাকিলকে রাজনীতির কলুষ কোনোভাবেই স্পর্শ করেনি বলে মূল্যায়ন করেছেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে মাহবুবুল হক শাকিলের ৫১তম জন্মোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে তরুণ কবি মন্দিরা এষকে মাহবুবুল হক শাকিল পুরস্কার ২০১৯ দেওয়া হয়।

পুরস্কার হিসেবে অনুষ্ঠানের  অতিথিরা তাকে ক্রেস্ট ও এক লাখ টাকার চেক এবং মাহবুবুল আলম শাকিলের স্ত্রী আইনজীবী নিলুফার আনজুম পপি ও কন্যা মৌফি বই তুলে দেন।

মাহবুবুল হক শাকিল সংসদের সভাপতি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন মাহবুবুল হক শাকিলের বাবা ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, প্রকাশক ওসমান গনি, মাজহারুল ইসলাম, কবি কাজী রোজী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। পরে অনুষ্ঠানে মাহবুবুল হক শাকিলকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ছাত্রজীবন থেকে শাকিল রাজনীতি করেছেন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। অন্যকে পীড়ন করে তিনি নিজের স্বার্থ হাসিল করেননি। এখন রাজনীতি কলুষিত হয়েছে। সেই কলুষ শাকিলকে কোনোভাবেই স্পর্শ করেনি।
 
সাহিত্য প্রতিভা নিয়ে তিনি বলেন, সাহিত্যক্ষেত্রে তিনিতো নবীনই ছিলেন। তার তিনটি মাত্র কবিতার বই বের হয়েছে। দ্বিতীয় কবিতার বইয়ে শাকিলের নিজস্বতা বেশি স্পষ্ট হয়েছে। সাহিত্যক্ষেত্রে শাকিল আমাদেরকে আরও বেশি দিতে পারতেন। সেই রকম প্রতিভা তার ছিল। অনেককেই তার প্রতিভার পূর্ণবিকাশের আগে চলে যেতে হয়। এ ট্যাজেডি আমাদেরকে মেনে নিতে হয়।
 
তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে শাকিল ছিলেন অসাধারণ। মানুষকে সাহায্যের জন্য তিনি এগিয়ে আসতেন। অন্যকে সাহায্য করার চেষ্টা তার মহৎ গুণ ছিল। শাকিলের মাঝে কোনো ক্লান্তি দেখিনি। তিনি জীবনকে উপভোগ করেছিলেন। তারপরেও জীবনের সবটুকু দেওয়ার আগেই তিনি চলে গেলেন।
 
জহিরুল হক খোকা বলেন, ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই শাকিল মেধা মনন প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গিয়েছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে কখন যে কবি লেখক হয়ে ওঠল বুঝে ওঠতে পারিনি। সমুদ্রে জল চলে গেলে তট রেখা থাকে। সাহিত্যের ক্ষেত্রে শাকিল তেমনি তটরেখা রেখে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এসকেবি/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।