ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে ঢাকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে ঢাকা

ঢাকা: পৌষ শেষে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পেয়েছেন রাজধানীবাসী। শীতের প্রকোপে কাঁপছেন এবার ঢাকাবাসী। দিনে সূর্যের আলো থাকলেও নিম্ন তাপমাত্রায় তা বোধ হয়নি। ভোর থেকে দিনের বেশিরভাগ সময়ই শীত অনুভূত হয়েছে বেশ। দেশের উত্তরাঞ্চলের পর এদিন ঢাকার মানুষ শীতে কাবু।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) চলতি মৌসুমে ঢাকায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে এদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। ফলে শীত অনুভূত হচ্ছে আরো বেশি। শীতের এই প্রকোপ আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, গত ৩০ বছরের হিসাবে এদিন ঢাকায় যে তাপমাত্রা থাকার কথা তার থেকে ১ ডিগ্রি কম। ১৯৫৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সর্বনিম্ন ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এই আবহাওয়াবিদ বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বা তার বেশি বাতাস প্রবাহিত হলে শীত বেশি অনুভূত হয়। এদিন বাতাসের সেই অবস্থা বিরাজমান। এজন্য শীত অনুভূতি হচ্ছে বেশি।

কুয়াশার সঙ্গে শীত অনুভূত বেশি হওয়ায় এদিন ঢাকায় সড়কে মানুষকে ভারি পোশাক গায়ে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। ছিন্নমূল মানুষগুলোর শীতে কষ্ট ছিল বেশি।

আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, আগামী দু’একদিন তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এই পরিস্থিতি বুধবারও থাকবে। তবে বৃহস্পতিবার রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হবে। বৃষ্টিতে তাপমাত্রা সামান্য কমবে এবং শীত অনুভূতি হবে আরো বেশি। এরপর তাপমাত্রা উঠানামা করবে এবং জানুয়ারিজুড়েই তা অব্যাহত থাকবে।

সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণেও বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বনিম্ন ৬-১৪ এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮-২৫ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে।

এদিন ময়মনসিংহে ১১, চট্টগ্রামে ১৩, সিলেটে ১২.৩, রাজশাহীতে ১০.১, রংপুরে ৯.৫, খুলনায় ১১.৮ এবং বরিশালে ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

জানুয়ারিজুড়েই উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের প্রকোপ অব্যাহত থাকবে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মল্লিক।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পাবনা, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ ও যশোর অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সতর্কতা

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে যায় এবং সড়ক ও নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটে।

সড়ক পথ ও নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঘন কুয়াশার ২০০ মিটারের মধ্যে কিছু দেখা যায় না। এজন্য সড়কে চলাচলকারী বাস, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন এবং নৌপথের যানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে হবে। এতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।