মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ডমুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন ওই কমিউনিটি ক্লিনিক ঘেরাও করে এবং লুৎফুরকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে একটি কক্ষে আটকে রাখে।
খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি টিম ওই স্থানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনা তদন্তে একজন চিকিৎসা কর্মকর্তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ওই কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির একজন ছাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় ৪র্থ শ্রেণির অপর এক ছাত্রী ওই অসুস্থ ছাত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে যায়।
ক্লিনিকের সিএইচসিপি অসুস্থ ছাত্রীকে দেখে কিছু ওষুধ ও ব্যবস্থাপত্র হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলেন ও তার সঙ্গী ছাত্রীকে কথা আছে বলে কৌশলে ক্লিনিকে রেখে দেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে ক্লিনিকের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ছাত্রীটি তখন চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে অসুস্থ ছাত্রীও চিৎকার করে আবার ক্লিনিকের দিকে ছুটে যায়।
পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ক্লিনিক ঘেরাও করে এবং ওই হেলথ প্রোভাইডারকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে আটক রাখেন।
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা জানান, স্থানীয় পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য এনামুল হক ক্লিনিকে ওই ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা ও হেলথ প্রোভাইডারকে আটক করে রাখার বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি পরে ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ঘটনাটি জানার পরই একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এছাড়া একজন চিকিৎসা কর্মকর্তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
এসএইচডি/ইএআর/ইউবি