ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শীতলক্ষ্যায় এলোমেলো জাহাজ নোঙর বন্ধে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
শীতলক্ষ্যায় এলোমেলো জাহাজ নোঙর বন্ধে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যার নৌ রুটে এলোমেলো বার্থিং বন্ধের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর। ইতোমধ্যে ৬টি নৌযানের মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারের বিরুদ্ধে নৌ আদালতে মামলাও দায়ের করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা, মেঘনা, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী নদীর নৌ-পথকে নিরাপদ করাসহ ৬ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন নিরাপদ নৌ রুট চাই নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।  

এরপর ২৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘নিরাপদ নৌ পথ চাই’ শীর্ষক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবন্ত নৌযান আগামী ২ মাসের মধ্যে অপসারণ করতে হবে।

অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ডুবন্ত নৌযানগুলো জব্দ করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।  

এছাড়া বিভিন্ন কলকারখানা, সিমেন্ট ফ্যাক্টরী, ডকইয়ার্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে এলোপাথারি জাহাজ বার্থিং (নোঙ্গর) বন্ধে এবং নৌ পথের নিরাপত্তায় একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া দ্রুত যে সকল নৌযানের রেজিষ্ট্রেশন ও ফিটনেস সম্পন্ন হয়নি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর থেকে প্রতিদিন ৭টি রুটে অন্তত ৭০টি লঞ্চ চলাচল করে থাকে। প্রতিদিন চলাচল করে থাকে অসংখ্য পণ্যবাহী নৌযান। ১৩টি খেয়াঘাটে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও নৌকায়। নৌ রুট সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে এলোপাথাড়ি জাহাজ বার্থিং (নোঙর) বন্ধে অভিযানে নামে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর। গত ০২ ফেব্রুয়ারি শীতলক্ষ্যার বিভিন্ন তীরে এলোপাথাড়ি বার্থিংয়ের কারণে ৬টি নৌযানের মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভার ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকাস্থ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের নৌ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য।  

বিবাদীরা হলেন এমভি উমাইজার মালিক মোহসেন উদ্দিন, মাস্টার মো. সাইফুল ইসলাম, ড্রাইভার কাজী মো. আক্কাস আলী, এমভি সিতারার মাস্টার আবুল হোসেন ও ড্রাইভার আব্দুর রহমান শেখ, এমভি ওকিনাওয়া-২ এর মালিক মো. আল হাসান, মাস্টার মো. আবুল কালাম আজাদ, ড্রাইভার আবু তাহের খান, এমভি আটলান্টিস এর মালিক এজেড ফিরোজ কবির চৌধুরী, মাস্টার বাহাদুর হাওলাদার, ড্রাইভার মোস্তফা কামাল, এমভি আল জোবায়ের-৪ এর মালিক মো. মজিবুল হক, এমভি শুকরিয়া এর মালিক মো. তৈয়বউল্লাহ।

বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সামনে এলোপাথাড়ি জাহাজ বার্থিং (নোঙর) বন্ধে আমাদের অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে ৬টি নৌযানের মালিক মাস্টার ও ড্রাইভার ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলা দায়ের এবং বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সামনে আমাদের একাধিক টিম গিয়ে সতর্ক করার পরে বন্ধ হয়েছে এলোপাথাড়ি জাহাজ বার্থিং (নোঙর)। বর্তমানে শীতলক্ষ্যার তীরে অনেকটাই শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।