তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে যমুনা নদীর পাড়ে গিয়ে এই রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন অথবা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও হতে পারে। তবে এখনো তা ফাইনাল হয়নি।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা-কলকাতা ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ এবং খুলনা-কলকাতা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ট্রিপ বাড়ানোর বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন মন্ত্রী।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, চলতি মাস থেকেই মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের ট্রিপ বাড়ছে। এতে দু’দেশের জনগণই উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার আরো নতুন দুটি ট্রেন চালানোর কথা ভাবছেন জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহীর মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে রাজশাহী থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত আমরা নতুন ট্রেন চালু করতে চাই, কিন্তু ভারত চাইছে রাজশাহী থেকে হাওড়া পর্যন্ত। তবে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি শিয়ালদা পর্যন্ত। পাশাপাশি চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সাত কিলোমিটার রেললাইন চালু হলে এই বছরেই আমরা ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি ট্রেন চালু করতে পারবো। এই ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি ও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন’।
ভারতের সঙ্গে যেহেতু বাংলাদেশের ট্রেন যোগাযোগ আছে সেক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রেলে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশের সেই ধরনের এলিগেশন এখনো পাওয়া যায়নি। চীন থেকে আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ এয়ারপোর্ট হয়ে আসছেন, সেক্ষেত্রে এয়ারপোর্টে এই ধরনের ব্যবস্থা বেশি নেওয়া হয়েছে’।
সংবাদ সম্মেলনে রেল সচিব মোফাজ্জেল হোসেন ও রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
টিএম/জেডএস