ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তির পর ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন সাংবাদিক কাজল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০
মুক্তির পর ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন সাংবাদিক কাজল ছবি: শাকিল

ঢাকা: দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়েই ছেলে মনোরম পলককে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন তিনি।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন। এসময় কারাফটকে পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে দা‌য়ের করা মামলায় ফ‌টোসাংবা‌দিক শ‌ফিকুল ইসলাম কাজ‌লকে জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা ছিল না।

২৪ নভেম্বর শেরে বাংলা নগর থানার মামলায়ও হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন এ সাংবাদিক। ফলে এখন তার জামিনে মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় কাজ‌লসহ ৩২ জ‌নের বিরু‌দ্ধে ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা হয়। মামলা‌টি ক‌রে‌ছি‌লেন মাগুরা-১ আস‌নের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর।  

এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দু‌’টি মামলা হয়।  

মামলা হওয়ার পর ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নি‌খোঁজ হন। তাই ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন।

পরে ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।

ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ফ‌টো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০
এজেডএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।