ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত বেড়িবাঁধ হস্তান্তর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২১
বাগেরহাটে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত বেড়িবাঁধ হস্তান্তর

বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধয়ানে নির্মিত দেড় মিলোমিটার রিং বেড়িবাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে সেনাবাহিনীর পক্ষে থেকে বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসের ২৮ পদাতিক বিগ্রেডের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কাজী আনিসুজ্জামান পিএসসি পানি উন্নয়ন বোর্ড, যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান ইমামের কাছে বাঁধ বুঝিয়ে দেন।

এসময় নির্মিত বাঁধের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব শহিনুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাফিন মাহমুদ, বোগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরে বিধ্বস্ত শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পূর্ণ বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নির্মাণাধীন থাকা অবস্থায় সাউথখালী ইউনিয়নের বগী থেকে গাবতলা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ ভেঙে বারবার লোকালয় প্লাবিত হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীকে ভাঙনকবলিত এলাকায় বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ১৬ জুন সাউথখালী ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বগী থেকে গাবতলা পর্যন্ত এক হাজার ৭০০ মিটার রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে সেনাবহিনী। আট কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি প্যাকেজে দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করে প্রায় সাত মাস পরে এ বাঁধ হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।