ঢাকা, শনিবার, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আমলা নির্ভর নির্বাচন কমিশন আর চায় না জেপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
আমলা নির্ভর নির্বাচন কমিশন আর চায় না জেপি ছবি: পিআইডি

ঢাকা: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে আমলা নির্ভর নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন না করার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পার্টি-জেপি। রাষ্ট্রপতির কাছে দলটি সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে।

বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দলটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতির আলোচনায় অংশ নেয়।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচজন কমিশনারই আমলা। অতীতের নির্বাচন কমিশনগুলোতেও সামরিক-বেসামরিক আমলারা প্রাধান্য পেয়েছে।

বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ছিলেন সাবেক সচিব, বাকি চার কমিশনারের মধ্যে মাহবুব তালুকদার সাবেক অতিরিক্ত সচিব, রফিকুল ইসলাম সাবেক সচিব, কবিতা খানম অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ ও শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।

বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় পার্টি-জেপি সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়ন ও নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছে।

আমলা নির্ভর না হয়ে সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বাছাই কমিটি (সার্চ কমিটি) ও নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পার্টি-জেপি।

এছাড়া সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেয় দলটি।

বঙ্গভবন প্রেস উইং আরও জানায়, রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টি-জেপির প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রতিনিধিদলের মতামত ইতিবাচক অবদান রাখবে।

গত ২০ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন আবদুল হামিদ।

প্রথম দিনে সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আলোচনা করেন রাষ্ট্রপতি। এখন পর্যন্ত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল, গণফোরাম, বিকল্পধারাসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কয়েকটি দল রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেয়নি।

রাষ্ট্রপতির আলোচনায় অংশ নিতে আগামী ১২ জানুয়ারি বিএনপি ও ১৭ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বঙ্গভবনে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। সার্চ কমিটির মাধ্যমেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে বাছাই করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার গঠন করা হয়।

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়েছিলেন বর্তমান নির্বাচন কমিশনাররা। নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। তার আগেই নতুন ইসি নিয়োগ দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।

সোমবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় পার্টি-জেপি আলোচনার সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।