হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ট্রাভেল এজেন্সি বা দালালের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কার্যালয়টিতে আড়াই ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানোর পর এ তথ্য জানাল সংস্থাটি।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পাওয়া অভিযোগের জেরে গতকাল মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত পাসপোর্ট কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। দুদক হবিগঞ্জ জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. এরশাদ মিয়া এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
এ সময় অভিযোগকারী ও পাসপোর্ট অফিসে আগত সেবাপ্রার্থীরাদের সঙ্গে কথা বলে হয়রানির কারণ উদঘাটন করে তারা। তবে সে সময় পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আইরিন পারভীন ডালিয়াকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
রাতে দুদকের উপ পরিচালক মো. এরশাদ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, অভিযানের সময় সহকারী পরিচালক কার্যালয়ে ছিলেন না। তার কক্ষটি তালাবদ্ধ থাকায় পুরোপুরিভাবে অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হয়নি। তবে কার্যালয়ের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো ট্রাভেল এজেন্সি বা দালালের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়াসহ মোবাইল ফোনে তাদের যোগাযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।
এ সময় সেবাপ্রত্যাশীরা দুদককে জানান, ‘পাসপোর্টের আবেদনে ত্রুটির দোহাই দিয়ে আবেদন গ্রহণে দেরি ও কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয় না। কিন্তু কোনো দালাল বা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে নির্ধারিত হারে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে আবেদন করলে গ্রহণ করা হয় ত্রুটিপূর্ণ আবেদনও। বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে পাসপোর্ট কার্যালয়ে কর্মরতদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
এ সব অভিযোগের সূত্র ধরে দুদক টিম পাসপোর্ট কার্যালয়ে কর্মরত কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট পরীক্ষা করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আইরিন পারভীন ডালিয়া জানান, তিনি দাপ্তরিক কাজে সিলেটে যাচ্ছেন ও অভিযানের ব্যাপারে অবগত নন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
আরএ