ঢাকা, শুক্রবার, ৯ কার্তিক ১৪৩১, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হরিণা থেকে ভাটিয়ালপুর সড়কের বেহাল দশা!

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
হরিণা থেকে ভাটিয়ালপুর সড়কের বেহাল দশা! সড়কের বেহাল দশা। ছবি: বাংলানিউজ

চাঁদপুর: চাঁদপুর সদরের নানুপুর থেকে হরিণা হয়ে ফরিদগঞ্জ ভাটিয়ালপুর সড়ক দুটির বেহলা দশা। জেলা সড়কে আন্তঃজেলার ভারী যানবাহন চলাচল করায় নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

বর্তমানে আন্তঃজেলা পরিবহনের পাশাপাশি ছোট যানবাহনগুলোও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। চরম ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে সংস্কারের দাবি চালক ও ভুক্তভোগীদের।

সরেজমিনে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলা সদর থেকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা ফেরিঘাটে যাওয়ার জন্য সড়কটি ২০১৩ সালে নির্মাণ এবং হরিণা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য ফরিদগঞ্জ ভাটিয়ালপুর পর্যন্ত সড়কটি ২০১৭ সালে পুনঃসংস্কার করা হয়। দু’টি সড়কই নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে সড়ক বিভাগ চাঁদপুর। কিন্তু হরিণা থেকে ভাটিয়ালপুর সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় আন্তঃজেলার অধিকাংশ গাড়ি ফেরিঘাটে নানুপুর-হরিণা সড়কটি ব্যবহার করে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে জেলা সড়কটি ভেঙে খানা-খন্দ সৃষ্টি হয় এবং বহু স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ছোট বড় সব যানবাহন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সড়কটি দিয়ে।

সড়ক বিভাগ থেকে মাঝে মাঝে ছোট খাট সংস্কার করা হলেও বর্ষা ও বৃষ্টি মৌসুমে সড়ক আগের অবস্থায় ফিরে যায়। এই সড়কটি হাইমচর উপজেলাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছোট যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয় যাত্রী ও চলাকরা। মাঝে মাঝে যানবাহন উল্টে পাশের খালে পড়ে। একই অবস্থায় হরিণা ফেরিঘাট থেকে ভাটিয়ালপুর পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৮শ’ গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

খুলনা থেকে আসা ট্রাকচালক মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, হরিণা ফেরিঘাট থেকে উপরে উঠলে যানজটে বসে থাকতে হয়। এরপর ভাঙা সড়ক দিয়ে খুবই ঝুঁকির মধ্যে আসতে হয়। একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে আরেকটি অতিক্রম করতে পারে না। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক জসিম ও যাত্রী এমরান বাংলানিউজকে বলেন, সদরের নানুপুর থেকে হরিণা পর্যন্ত সড়কটি বহুদিন ধরে ভাঙা। সঠিকভাবে মেরামত করা হয় না। একটি গর্ত মেরামত করতে কয়েকদিন লাগে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় মানুষদের। অনেক সময় আমাদের অটোরিকশা দুর্ঘটনার শিকার হয়।

স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক জুলফিকার আলী বাংলানিউজকে বলেন, হরিণা থেকে চান্দ্রা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কটিতে বেশ কয়েক স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। খুবই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলে। প্রায় সময় মালবাহী গাড়িগুলো কাত হয়ে পড়ে যায়। আমরা চাই সড়কটি আরও প্রশস্ত এবং মেরামত করা হোক।

সওজ চাঁদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসুজ্জোহা বাংলানিউজকে বলেন, জেলা সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়কটি ভাঙন ও ওয়েবের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও ঢাকা থেকে অনেক যানবাহন এই সড়ক দিয়ে হরিণা ফেরিঘাটে যাওয়া আসা করে। এটি একটি শক্তিশালী সড়কে পরিণত করার জন্য আরও কয়েকটি সড়কসহ আমরা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আশাকরি প্রক্রিয়া শেষে দ্রুতই কাজটি শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।