ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসা মরা মাছ নিয়ে বিভ্রান্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসা মরা মাছ নিয়ে বিভ্রান্তি ছবি: সংগ্রহীত

কক্সবাজার: সৈকতের বালু চরে পড়ে আছে ছোট প্রজাতির অসংখ্য মৃত মাছ। আর উৎসুক জনতা মাছগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছে।

 এ রকম কয়েকটা ছবি নিয়ে শনিবার (১৯ মার্চ) বিকেল থেকে বেশ হৈচৈ পড়ে যায় পর্যটন শহর কক্সবাজারে।

অনেকে ধারণা করছেন, এসব মাছ কলাতলী থেকে দরিয়া নগর সৈকতের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এসব মাছের ছবিগুলোও ভাইরাল হয়।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শনিবার (১৯ মার্চ) বিকেল থেকে এসব মাছ সৈকতে ভেসে আসছে বলা হলেও পরবর্তীতে এ দৃশ্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানালেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বিপ্লব।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মাছের কোন অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে কেউ সরাসরি বিষয়টি দেখেননি। তবে ছবিতে যে মাছগুলো দেখা যাচ্ছে এগুলো বেশিরভাগ চাপিলা মাছ।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ঠদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এগুলো বড় কোনো জাহাজের মাছ নয়, বড় জাহাজের জালে এ ধরনের ছোট মাছ ধরা পড়বে না। তবে ছোট ছোট জালে এসব মাছ ধরা পড়তে পারে। এক সঙ্গে বেশি মাছ পড়াতে জাল ছিড়ে চলে এসেছে কিনা, বা কেউ ফেলে দিয়েছে কিনা সে বিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান বিপ্লব।  

তবে স্থানীয় বাসিন্দা মো. জসিম জানান, শনিবার (১৯ মার্চ) ভোরে সৈকতে হাঁটতে বেরিয়ে স্থানীয় জেলেদের কাছে এ রকম কিছু চাপিলা মাছ চোখে পড়েছে। তবে তা পরিমাণে ১০ থেকে ১৫ কেজির বেশি নয়।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় জেলেদের কাছে তরতাজা মাছ থাকার কথা থাকলেও ওই মাছগুলো ছিল পঁচা। তার ধারণা, মাছ ধরার ছোট কোনো বোট থেকে মাছগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে জোয়ারের পানিতে এসব সৈকতের তীরে চলে আসে।

ওই মাছগুলোর সঙ্গে একটি মরা জেলিফিস ভেসে আসে বলেও জানান জসিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।