ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পরকীয়ার জেরে প্রতিবন্ধী নারীকে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
পরকীয়ার জেরে প্রতিবন্ধী নারীকে হত্যা

নওগাঁ: প্রতিবন্ধী এক নারীকে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও মরদেহ উদ্ধার করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ওই ব্যক্তির নাম মাহাবুব আলম বিস্কুট (৪৫)। তিনি রানীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আয়নুল হকের ছেলে।

নিহত ওই প্রতিবন্ধী নারীর নাম লাভলী খাতুন (৩১)। তিনি রাণীনগর উপেজেলার ভবানীপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের মেয়ে লাভলী খাতুন (৩১)।

রোববার (২০ মার্চ) দুপুর ২টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া।

এরআগে, গত শনিবার বিকেলে নওগাঁর রাণীনগর থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে জিরাবো পশ্চিম পাড়া বায়তুন জামে মসজিদ এলাকায় থেকে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় ওই প্রতিবন্ধী নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী লাভলী খাতুন (৩১) বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন। চারদিনেও লাভলী খাতুনের খোঁজ না পেয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাণীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বড় ভাই।

এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে উপজেলার ভবাণীপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তিতে একই গ্রামের হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মাহবুব আলমকে পুলিশ নাটোর জেলার হালতি-খোলাবাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যে গত শনিবার বিকেলে ঢাকার আশুলিয়া থেকে লাভলী খাতুনের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুব আলম জানায় লাভলী খাতুনের সাথে তার দীর্ঘদিনের পরকিয়া প্রেম ছিল। এছাড়া তিনি লাভলী খাতুনের কাছে বেশকিছু টাকা ধার করেছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঢাকায় চলে যায়। এরপর মাহাবুব আলম সেখান থেকেই লাভলী খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। কিছুদিন পর লাভলী খাতুন তার পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য এবং তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাভলীকে অপহরণ করে হত্যার পরিকল্পনা করে মাহাবুব আলম ।

পরিকল্পনা মোতাবেক ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখে কৌশলে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে তাকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায় মাহাবুব। সেখানে যাওয়ার পর আসামি মাহবুব আলমসহ কয়েকজন মিলে লাভলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মরদেহ বস্তাবন্দি করে মাটির নিচে গর্তে পুঁতে রাখে।

এ ঘটনায় মাহবুব আলমকে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দির জন্য হাজির করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।