ঢাকা, শুক্রবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্ষণের অভিযোগ করায় তরুণীকে এলাকা ছাড়তে চাপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
ধর্ষণের অভিযোগ করায় তরুণীকে এলাকা ছাড়তে চাপ অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো. সাকিব ভূঁইয়া।

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে পোশাক শ্রমিক এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় সেই তরুণীকে এলাকা ছাড়া করতে হুমকি দিচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা মজিবুর রহমান শাহেদ।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) অভিযোগের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এর কোনো সমাধান পায়নি ভুক্তভোগী তরুণী। উল্টো তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশকে ফোন করলে তাকে নানা ভাবে অপমান করা হয়।

এর আগে, সোমবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করে ভুক্তভোগী তরুণী নিজে।

অভিযুক্ত সাকিব এশিয়ান ইউনিভার্সিটির আশুলিয়া ক্যাম্পাস শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আশুলিয়ার ঘোষবাগ প্রাইমারী স্কুল এলাকার শাহ আলম ভূঁইয়ার ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী ওই এলাকায় ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। অভিযুক্ত সাকিবের সঙ্গে একটি ফার্নিচারের দোকানে গিয়ে পরিচয় হয় তরুণীর। সেই থেকে তাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১ জানুয়ারি তরুণীর বাসায় এসে সাকিব তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে করার চেষ্টা করে। তরুণী রাজি না হলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর আরও কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে গত ৬ মার্চ সাকিবকে চাপ দিলে বিয়ে করবে না বলে ওই তরুণীকে জানিয়ে দেয়। এছাড়া সেই তরুণী যেন এলাকা ছেড়ে চলে যায় সে জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় ও চাপ সৃষ্টি করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণী বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার (২১ মার্চ) আশুলিয়া থানায় এ নিয়ে একটি অভিযোগ করি। কিন্তু আমাকে স্থানীয় নেতা মুজিবর রহমানসহ আরও অনেকেই হুমকি দিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলছে। শুধু তাই নয় যে পুলিশের কাছ আমার অভিযোগ তদন্তের দায়ভার পরেছে তাকে ফোন দিয়েছিলাম সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। ইতোমধ্যে আমার পেটে যে বাবু ছিল তাকে ওষুধ খাইয়ে নষ্ট করেছে সাকিব। এখন আমি অনেক অসুস্থ।

বিষয়টি নিয়ে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান শাহেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি শুনেছি। আমি তো তার বাসায় যাইনি।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। রাতে যাবো। অনেক ধর্ষণের অভিযোগ আছে। কয়টা করবো।

বিষয়টি নিয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মেয়েটি থানায় এলে মামলা এন্ট্রি করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
এসএফ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।