ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিয়ে করে জামিন পেলেন সেই এসআই জলিল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
বিয়ে করে জামিন পেলেন সেই এসআই জলিল

পঞ্চগড়: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পঞ্চগড়ের এক (৩৬) নারীর দায়ের করা মামলায় ভুক্তভোগী ওই নারীকে বিয়ে করায় কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

বুধবার (২৩ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে, দুপুরে মামলায় হাজিরা দিতে এসে বিয়ে করার শর্তে জামিন আবেদন করেন এসআই জলিল। আদালত তার জামিন আবেদনে সন্তুষ্ট হয়ে বিয়ের কাবিননামা দাখিলের পরে জামিন মঞ্জুর করেন।

রাতে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

জানা যায়, ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেনমোহরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে বিয়ে করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল। এর আগে, পঞ্চগড় সদর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

গত ২৩ জানুয়ারি এ মামলায় এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। তার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এক নারী। সেই ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে তোলেন। এরপরে তিনি ভুয়া কাবিননামার করিয়ে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার ‘শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একসময় ভুক্তভোগী নারী বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন। পরে ওই ভুক্তভোগী নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রোববার (২৩ জানুয়ারি) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী বাংলানিউজকে বলেন, এতোদিন আমি জলিলের কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতি তো দূরের কথা বিয়ের কাবিননামাও পাইনি। আজকে আদালতে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

>>> মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে হাজতে এসআই

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।