ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিখোঁজের ১১ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল কলেজছাত্রের মরদেহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
নিখোঁজের ১১ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল কলেজছাত্রের মরদেহ

সাভার (ঢাকা): সাভারে বনগাঁও ইউনিয়নে নিখোঁজের ১১ দিন পর একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে সাকিব আল মামুন (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ইউনিয়নের পশ্চিম কোটাপাড়া এলাকার রাকিব হোসেনের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সাকিব আল মামুন বনগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম কোটাপাড়া গ্রামের কাঞ্চন মিঞার ছেলে। তিনি আমিনবাজর মফিদ-ই-আম স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নিহতের ভাই লুৎফর রহমান বলেন, আমার ভাই কলেজে পড়াশুনা করে। গত ১৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টার দিকে তাকে ফোন করে বাসা থেকে কে বা কারা ডেকে নিয়ে যায়। এরপর অনেক সন্ধান করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে থানায় ১৭ মার্চের দিকে একট সাধারণ ডায়েরি করা হয়। আজ বাড়ির থেকে দূরে একটি পরিত্যক্ত ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। পরে সাকিবের পড়নের কাপড় ও স্যান্ডেল দেখে মরদেহ শনাক্ত করি। সাকিবের কোনো বন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। সে তার বন্ধুদের থেকে টাকা পেতো শুনেছিলাম। তবে কি কারণ সেটা আমরা বলতে পারছি না।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, দুপুরে পরিত্যক্ত বাড়িটিতে দুপুরে খেতে আসেন পাশের জমিতে কাজ করা কৃষকরা। এসময় ১২ ফুট গভীর সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হলে তারা ভেতরে মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরেই ঘটনাস্থলে গেলেও মরদেহ প্রাথমিক সুরতহালের পর সন্ধ্যায় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, মরেদহটি গলে পঁচে গিয়েছিল। তবে পরিবারের সদস্যরা মরদেহের পড়নের গেঞ্জি, জুতা এবং প্যান্ট দেখে সাকিবকে শনাক্ত করে। ধারণা করা হচ্ছে, সাকিবকে হত্যার পর তার মরদেহ গুম করতে এই পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রেখে গেছে খুনীরা। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
এসএফ/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।