ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাবান্ধায় বিজিবি-বিএসএফের ‘রিট্রিট সিরিমনি’ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
বাংলাবান্ধায় বিজিবি-বিএসএফের ‘রিট্রিট সিরিমনি’ 

পঞ্চগড়: স্বাধীনতার দিবস উপলক্ষে বডার্র গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) যৌথ উদ্যোগে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে ‘রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে এ জয়েন্ট প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উভয় দেশের পতাকা নামানো, কুচকাওয়াজসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ সাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি উদ্বোধন করা হয়েছে।  

বিজিবির রংপুর রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান ও নর্থবেঙ্গল বিএসএফের আইজি শ্রী অজয় সিং আনুষ্ঠানিকভাবে এই জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনির উদ্বোধন করেন।

সে সময় অতিথিদের উপস্থিতিতে ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধনের অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফের প্যারেড কন্টিনজেন্ট চমকপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর কুজকাওয়াজ (প্যারেড) প্রদর্শন করা হয়।

ভালোবাসা ও উষ্ণ বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ দুই দেশ এবং দু-দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ ঐতিহাসিক ‘জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি’ যৌথভাবে পতাকা অবনমন করেন। ‘জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি‘ উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের জাঁকজমক প্যারেডের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবং উভয় দেশের জাতীয় পতাকা একইসঙ্গে নামানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয়।  

সে সময় ব্যান্ড ও বিউগল বাজানো হয়। পতাকা ভাঁজ করে গুছিয়ে নেওয়ার পর উভয়পক্ষের কমান্ডার দৃঢ়তার সঙ্গে করমর্দন করে ‘রিট্রিট (নিজ নিজ প্রান্তে ফিরে আসার প্রক্রিয়া) সম্পন্ন করেন।

অনুষ্ঠানের শেষে বিজিবি-বিএসএফের আঞ্চলিক পর্যায়ের এ ঐতিহাসিক জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনিকে স্মরণীয় করে রাখতে স্মারকচিহৃ বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্ব শেষ করেন।   



উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সোহরাব হোসেন, ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম ফজলে রাব্বি, বিএসএফের কামাডেন্ট শ্রী হরিশ চন্দ্র, জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা ও দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দারসহ অনুষ্ঠানে দুই দেশের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ সর্বস্তরের মানুষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করেন।

উভয় দেশের নাগরিকরা কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বসে, আবার কেউ বা গ্যালারিতে বসে এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। দু-দেশের গ্যালারিতে ছিল নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। হাতে ছিল দুই দেশের জাতীয় পতাকা। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার, জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি, বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের মধ্যে সৌহাদর্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বিএসএফের প্রতিনিধিদল বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এর আগে বিজিবি বিএসএফের প্রতিনিধিদলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।