ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিমা ভাঙচুর-হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
প্রতিমা ভাঙচুর-হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুর, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা, নির্যাতনের প্রতিবাদ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

একইসঙ্গে সংগঠনটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিও জানিয়েছে।

রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচী থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করলেও স্বাধীনতার সুফল আজও ভোগ করতে পারেনি। স্বাধীনতার পরপরই সরকারের ‘মৃত শত্রু সম্পত্তি আইন’ ভিন্ন নামে পুনর্বহাল করে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ২৬ লাখ একর সম্পত্তি দখল করা হয়েছে।

তারা বলেন, ১৯৭৩ সালের ১৩ মে রমনা কালি মন্দির বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়। এরপর ১৯৯১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা এবং বর্তমান সরকারের সময় চট্টগ্রামের রাউজান, ফটিকছড়ি, যশোরের অভয়নগর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, হাতিয়া, ঢাকার খিলগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন সহযোগীতায় ব্যাপকভাবে হামলা ভাঙচুর লুটপাট অগ্নি সংযোগ, জমি দখল, ধর্ষণ, হত্যাসহ দেশত্যাগে বাধ্যকরনের ঘটনা ঘটেছে ব্যাপকভাবে। অথচ সরকার কোন ঘটনারই বিচার করেনি। কোন অপরাধী শাস্তি পায়নি।

বক্তারা আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের জমি জমা দখল, দেশত্যাগের হুমকি মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি সরকার বিচার করতেও আগ্রহী নয়। আমরা আসামিদের মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে ধর্ম অবমাননার অযুহাতে শত শত হিন্দু যুবককে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল হাজতে আটক রাখা হয়েছে। মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অযুহাতে গ্রেফতারকৃত সকলের মুক্তি দাবি করছি।

কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের বিধান বিহারী গোস্বামী, নির্বাহী সভাপতি অ্যাড. দীনবন্ধু রায়, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. প্রতিভা বাকচী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
এইচএমএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।