বরিশাল: ১৯৪০ সালের সিএস খতিয়ান অনুসারে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি পুকুর ছিল। আর ২০১০ সালের মাস্টার প্ল্যানের তথ্যানুযায়ী শুধুমাত্র বরিশাল নগরে অস্তিত্ব পাওয়া গেছে ৪৩৬টি পুকুরের।
বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বরিশাল নগরের বিডিএস মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আয়োজিত ‘বরিশালে জলাশয় সুরক্ষা ও সংরক্ষণে করণীয়’ শীর্ষক গণশুনানি অনুষ্ঠানে এ অভিমত দেন বেলার প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সোহেল মারুফ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক মিয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বেলার সদস্য রফিকুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন।
বরিশালে জলাশয় সুরক্ষা ও সংরক্ষণে ১৩টি সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হয়েছে গণশুনানিতে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নদী রক্ষায় উচ্চাদালতের রায় বাস্তবায়ন, সি.এস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারন, দখল-দূষণ ও ভরাটে আইনের কঠোর
প্রয়োগ, নদী রক্ষা কমিশনের নিয়মিত তৎপরতা, সামাজিক আন্দোলন ও প্রেসার গ্রুপ সক্রিয়া রাখা ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
এমএস/এএটি