হবিগঞ্জ: বিয়ের প্রলোভন দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে এক তরুণীকে মাধবপুরে এনে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে মেয়েটির প্রেমিকসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চার জনের নামে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাতে তাদেরকে গ্রেফতার দেখায় মাধবপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের রিয়াজনগর গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া (৩০), একই উপজেলার তাজপুর গ্রামের মৃত মধু মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া (৩০) ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বড়চর গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (২৫)।
বুধবার মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকসহ পুলিশ সদস্য মৌলভীবাজার সদর থেকে প্রধান আসামি ও মেয়েটির প্রেমিক বিল্লালকে গ্রেফতার করেন।
একইদিন রফিক ও মামুনকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সংস্থাটির শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করে। পরে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, আটক দুই জনকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল্লাহ আল নোমান।
নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুই মাস আগে বিল্লালের সঙ্গে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দেওয়ান নগর গ্রামের একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৬ মার্চ মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিল্লাল শায়েস্তাগঞ্জের ওলিপুলে নিয়ে আসেন বিল্লাল। ওইদিন ও এর পরের দিন বিল্লাল বন্ধুদের নিয়ে মেয়েটিকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন। পরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে মেয়েটি বাদী হয়ে চার জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
কেএআর