শেরপুর: শেরপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে বাসায় ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগে এক কলেজ শিক্ষক ও বাসার মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শেরপুর পৌর শহরের গৌরীপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার জোবায়ের হোসাইন নকলা উপজেলার চৌধুরী ছবরুন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও লুৎফর রহমান শেরপুর পৌর শহরের গৌরীপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
জানা যায়, নকলা পৌর শহরের ইশিবপুর এলাকার বাসিন্দা ও চৌধুরী ছবরুন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী একই কলেজের আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক জোবায়েরের কাছে প্রাইভেট পড়তো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। ওই অবস্থায় বুধবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে ফোন করে শেরপুর শহরের মধ্য গৌরীপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন জোবায়ের। সেখানে প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসার মালিক লুৎফর ও তার বন্ধু আবু রাহাত তাদের রুমে এসে ঘটনা দেখে ফেলে ভিডিও ধারণের কথা বলে ভয় দেখিয়ে তাদেরকে চাপ দেয়। পরে শিক্ষক জোবায়েরকে পাশের একটি কক্ষে রেখে ওই ছাত্রীকে রাহাত ও লুৎফর রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এরপর জোবায়ের ও কলেজ ছাত্রীকে বাসা থেকে বের করে দেয় তারা। পরে রাতেই জোবায়ের মোটরসাইকেলে তারাকান্দি এলাকায় পৌঁছানোর পর একটি সিএনজি অটোরিকশায় বাসায় পাঠায় ওই ছাত্রীকে।
পরে ওই ছাত্রী রাতে বাসায় গিয়ে ঘটনা খুলে বলে এবং তার এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় ৯৯৯ এ ফোন করলে রাতেই কলেজ শিক্ষক জোবায়েরকে তার নকলা শহরের বাজারদি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে নকলা থানা পুলিশ। পরে ওই ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে শেরপুর শহরের মধ্য গৌরীপুর এলাকা থেকে বাসার মালিক লুৎফরকে গ্রেফতার করে। সেইসঙ্গে ঘটনাস্থলে ব্যবহৃত বিছানার চাদর, লুঙ্গিসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আরেক পলাতক আসামি রাহাতকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
কেএআর