সাতক্ষীরা: হাইকোর্টের নির্দেশে সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত হওয়ার জেরে বাস টার্মিনালে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এতে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে।
রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুরে শ্রমিক নেতা রবি ও জাহিদ গ্রুপের কর্মী-সর্মথকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক জানান, শনিবার (০২ এপ্রিল) শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ রবিউল ইসলাম ভোটার তালিকাসহ আগের কমিটির বিভিন্ন স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্বাচনের ওপর তিনমাসের স্থাগিতাদেশ দেন। এনিয়ে বাস টার্মিনালে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। রোববার দুপুর ১২টার দিকে বাস টার্মিনালের ভেতরে রবি গ্রুপের শ্রমিক রতন ও মাসুম হোসেনকে পিটিয়ে জখম করে জাহিদ গ্রুপের আক্তার হোসেন, টিপু, শাহাজাহান হোসেন ও মিলন হোসেন।
পরে রবি গ্রুপের শ্রমিকরা পাল্টা হামলা চালায় জাহিদ গ্রুপের লোকজনের ওপর। এতে টিপু ও আক্তার হোসেন আহত হন। এর জের ধরে জাহিদ গ্রুপের লোকজন বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদের সম্পাদনায় প্রকাশিত দৈনিক কালের চিত্র অফিস লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে পত্রিকার সাইনবোর্ড ও অফিস কক্ষের বাইরের থাইগ্লাস ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
এ বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ রবিউল ইসলাম জানান, নির্বাচনের স্থগিতাদেশ হওয়া আমাদের জন্য কাল হয়েছে। আমাদের যেখানে-সেখানে মারছে, অথছ প্রশাসন কেউ কিছু করছে না।
বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জানান, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। পরে গল্ডগোলের খবর শুনে টার্মিনালে আসি। এসে শুনি, রবির লোকজনের হাতে শ্রমিক টিপু ও আক্তার আহত হয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বাংলানিউজকে জানান, টার্মিনালের পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ এখনো থানায় অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
এনটি