নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল বেড়িবাঁধ এলাকায় লিলি কেমিক্যাল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানার মালিকসহ ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (০৩ মে) আজিজার রহমান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—লিলি ক্যামিকেল কারখানার মালিক এ কে এম সেলিম, ম্যানেজার আব্দুল বাতেন, ইলেকট্রিশিয়ান রফিকুল ইসলাম, কাস্টম সাবরুল ইসলাম, সুপারভাইজার কাউসার হাবিব।
বাদী আজিজার রহমান মামলায় উল্লেখ করেন, তার বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার ফুল চৌকি খামারপাড়া গ্রামে। আজিজার রহমানের ভাই আকালু লিলি কেমিক্যাল কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গত ২৯ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে কারখানার পেস্টিং সলিউশন (জুতা তৈরির আঠা) মেশিনের সুইচ চাপ দেন এক শ্রমিক। এ সময় বিকট শব্দ হয়ে মেশিনে আগুন ধরে কেমিক্যাল মজুদ থাকায় খুব দ্রুত তা কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় তার ভাই আকালু, শ্রমিক সজীব, বায়েজীদ, রাসেল, মুজাহিদ, খাদেমুল, রোকন, মেহেদী ও রিপন কর্মরত থাকা অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হন। অগ্নিদগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামলার বাদী আজিজার রহমানের ভাই আকালুসহ চারজন মারা যান। অন্যান্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, লিলি কেমিক্যাল কারখানার মালিক এ কে এম সেলিমসহ কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গত ২৯ রাত সাড়ে ১০টার দিকে রূপগঞ্জ দক্ষিণ গোলাকান্দা এলাকায় কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। কেমিক্যাল কারখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার স্টেশন থেকে ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে—মুজাহিদ (২০), আকালু (৩৫), সজীব (৩০) ও বায়েজীদ (৩০) মারা গেছেন। দগ্ধ বাকি পাঁচজন হলেন—রোকন, খাদেমুল, রিপন, মেহেদী ও রাসেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
এমআরপি/এমজেএফ