বরিশাল: বরিশাল নগরের রূপাতলী বাস টার্মিনালের কর্তৃত্ব নিয়ে স্থানীয় সাংসদ অনুসারী শ্রমিক নেতা-কর্মীর ওপর হামলা ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে সিটি মেয়রপন্থীদের বিরুদ্ধে।
আর মেয়র পন্থীদের দাবি তাদের ওপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে।
শ্রমিক নেতাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী আহতরা হলেন বরিশাল সদর আসনের সাংসদ ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান মাহামুদ, তার অনুসারী শ্রমিক মানিক, শামীম, নাসির।
এছাড়া পাল্টা কমিটি বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী পরিমল চন্দ্র দাসের সমর্থক কালাম ও দিপু সিকদার।
শনিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে থেকে এ নিয়ে নগরের রুপাতলী বাস টার্মিনাল ও আশপাশের এলাকায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
আহত শ্রমিক নেতা সুলতান মাহামুদ বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত অফিসে বসা ছিলাম। হঠাৎ করে শ্রমিক নেতা দাবীদার রইজ আহম্মেদ মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিবসহ দুই শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী লাঠিসোঠা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। রুপাতলী বাস টার্মিনাল কন্ট্রোলে নিতে না পারার কারণে আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে এবং আমার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।
সুলতান বলেন, আমি এবং আমার অনুসারীরা কেউ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সাহস পাচ্ছে না, যে কারণে আমারা নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি।
অপরদিকে সিটি মেয়র অনুসারী বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস জানান, আমরা কারো ওপর হামলা করিনি। যাদের নাম বলছে তারা তো টার্মিনালেই আসেনি। বরং সুলতান মাহামুদ আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের দুই শ্রমিককে আহত করেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার বাবু বলেন, আমরা সকাল থেকে টার্মিনালে ছিলাম, কিন্তু কোথাও কোনো ঝামেলার খবর শুনিনি।
এ বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার সহকারী কমিশনার শারমিন সুলতানা রাখি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এনামুল হক বলেন, এখানে এসে একটি অফিস ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। যারাই এই অপরাধ করেছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো পর্যালোচনা করে দেখবো আমরা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ কয়েকদিন ধরেই রুপাতলী মিনিবাস টার্মিনাল দখল নিয়ে প্রতিমন্ত্রী ও মেয়র সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শুক্রবার দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২
এমএস/কেএআর