ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষিকার প্রতি বর্ণবাদী আচরণের প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষকদের

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
শিক্ষিকার প্রতি বর্ণবাদী আচরণের প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষকদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারের প্রতি এক পুলিশ সদস্য কর্তৃক বর্ণবাদী ও অবমাননাকর আচরণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবি) শিক্ষক সমিতি (ডুটা)।

সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী গত শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে ড. লতা সমাদ্দার বাসা থেকে নিজ কর্মক্ষেত্র তেজগাঁও কলেজে যাচ্ছিলেন। তার কপালে টিপ পরা ছিল। মোটরসাইকেলে বসা একজন পুলিশ তাকে দেখেই উচ্ছৃঙ্খল আচরণ এবং ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে কটূক্তি করেন। শিক্ষকা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে ওই পুলিশ  সদস্য তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন এবং তার পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যান।

এ ঘটনায় সর্বস্তরের নাগরিকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বর্তমান সরকার যেখানে অসাম্প্রদায়িক,  গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সমাজের সর্বস্তরে ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ ভেদাভেদ দূর করে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে; ঠিক সে সময়ে সরকারের পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য  যিনি নারীর নিরাপদ গমনাগমন নিশ্চিত করতে তৎপর থাকার কথা, তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত অনভিপ্রেত।

শিক্ষক নেতারা বলেন, আমরা মনে করি এ ধরনের অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে সভ্য সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করা কোনভাবেই সম্ভব হবে না। একজন ব্যক্তির বেআইনি কর্মকাণ্ডের দায়ভার কোনো প্রতিষ্ঠান বহন করবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সংসদেও বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। এতদসত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করতে পারেনি, যা বিস্ময়কর। আইন রক্ষাকারী বাহিনীতে এ ধরনের অপরাধ মনোবৃত্তি সম্পন্ন ব্যক্তির উপস্থিতি অবাঞ্ছিত। আমরা অনতিবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অপরাধীকে শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।     

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২
এসকেবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।