ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দল ভারী করতে কিশোরের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেললো হিজড়ারা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
দল ভারী করতে কিশোরের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেললো হিজড়ারা!

মাদারীপুর: দল ভারী করতে মাদারীপুরে ইয়াছিন আরাফাত (১৭) নামে এক কিশোরের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় হিজড়া ও তাদের ভ্যানচালকের বিরুদ্ধে। জোর করে মাদারীপুর থেকে মাইক্রোবাসে করে খুলনা নিয়ে ওই কিশোরের পুরুষাঙ্গ কর্তন করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, ইয়াছিনের কথাবার্তা অনেকটা মেয়েলি হওয়ার কারণে হিজড়ারা তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। এ ঘটনার চারদিন পর ওই কিশোরকে প্রাইভেটকারে নিয়ে এসে পুনরায় মাদারীপুর শহরে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা।  

ইয়াছিন চর গোবিন্দপুর এলাকার রেজাউল মোড়লের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী। এদিকে ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা। প্রধান অভিযুক্ত নুরু বাবনাতলা মোড় এলাকার খলিল বকতির ছেলে।

ভুক্তভোগীর পরিবার, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার মঠের বাজার থেকে ইয়াছিন আরাফাতকে জোর করে মাইক্রোবাসে তোলে স্থানীয় হিজড়াদের ভ্যানচালক নুরু বকতি। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় খুলনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। সেখানে ওই কিশোরকে অচেতন করে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে। পরে অবস্থা খারাপ হওয়ায় রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে একটি প্রাইভেটকারে ইয়াছিনকে মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় হিজড়া ও তাদের ভ্যানচালক নুরু তাদের দলে নিতেই ওই কিশোরের লিঙ্গ পরিবর্তন করে। ইয়াছিনের মেয়েদের স্টাইলে কথা বলার অভ্যাস থাকার কারণেই হিজড়াদের দল ভারী করতে ইয়াছিনের সঙ্গে এমন অমানবিক ঘটনা হয়েছে উল্লেখ করে, সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।