ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টিকার লক্ষ্য পূরণে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২২
টিকার লক্ষ্য পূরণে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: পিছিয়ে পড়া দেশগুলোকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) জার্মানি এবং ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভি আয়োজিত ‘২০২২ গ্যাভি কোভ্যাক্স এএমসি সামিট: ব্রেক কোভিড নাও’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে পূর্বধারণকৃত ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

গ্যাভি কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট দ্বারা সমর্থিত নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য দাতা তহবিলে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলারসহ কোভ্যাক্স-এর জন্য জরুরি আর্থিক সহায়তায় কমপক্ষে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার সংগ্রহে সহায়তা করার লক্ষ্যে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, কিছু দেশ এখনও তাদের টিকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে অনেক দূরে রয়ে গেছে। এই দেশগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ মনোযোগ এবং সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।

স্টেকহোল্ডারদের সব দেশে টিকা প্রদানে সাহায্য করতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি উন্নয়ন অংশীদারদের কোভ্যাক্স এএমসি’তে তাদের অবদান এবং ভ্যাকসিন বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ ভ্যাকসিনের সমতা নিশ্চিত করতে এবং গ্যাভি ও কোভ্যাক্সের সঙ্গে সর্বদা কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি জনস্বাস্থ্যের জরুরি পরিস্থিতিতে কার্যকরভাবে সাড়া দিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাকে শক্তিশালী করেছে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি এই উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাপী একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। ভবিষ্যতের মহামারি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের এই প্ল্যাটফর্মটিকে প্রয়োজনীয় সংস্থান এবং দক্ষতার সঙ্গে সমর্থন করতে হবে।

বাংলাদেশের টিকা প্রদান কর্মসূচির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ তার লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশের বেশি জনসংখ্যাকে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছে। গ্যাভির সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্ব এই সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কোভ্যাক্স এএমসি প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহত সমর্থনের জন্য উন্মুখ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে ভ্যাকসিনকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন তহবিল এবং দান করা ডোজ এখন গ্যাভি কোভ্যাক্স এএমসির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নিম্ন আয়ের দেশ এবং অঞ্চলগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে। ২০২১ সালের শেষের দিকে ডেলিভারি দ্রুত বৃদ্ধি করা দেশগুলোকে ভ্যাকসিনের ইক্যুইটি ব্যবধান কমাতে সাহায্য করেছে।

উদ্বোধনী অধিবেশনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল এবং গ্যাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জোসে ম্যানুয়েল বারোসো বক্তব্য রাখেন।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. নাজলা বাউডেন এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।

ভার্চ্যুয়াল  ইভেন্টের সহ-সভাপতি ছিলেন জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী সোভেনজা শুলজে এবং গ্যাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান জোসে ম্যানুয়েল বারোসো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২২
এমইউএম/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।