ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাথরঘাটায় মা-মেয়ে হত্যার আরেক আসামি কারাগারে

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২২
পাথরঘাটায় মা-মেয়ে হত্যার আরেক আসামি কারাগারে

পাথরঘাটা (বরগুনা): পারিবারিক কলহের জেরে বরগুনার পাথরঘাটায় মা সুমাইয়া (১৮) ও মেয়ে সামিরা আক্তার জুঁইকে (৯ মাস) হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখা মামলার আরেক আসামি মো. রিমনকে (১৯) গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করেছে বরগুনা সিআইডি পুলিশ।

শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনার পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক মো. রাসেল মজুমদার আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ নিয়ে ওই হত্যা মামলার ৪ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার পাথরঘাটা ইউনিয়নের হাতেমপুর গ্রাম থেকে রিমনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।

২০২১ সালের ৩ জুলাই পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাতেমপুর গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর হত্যার  ঘটনা ঘটে। ওইদিন সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালের পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ।   এ ঘটনায় সেদিন ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক শাহিনের মা শাহিনুর বেগম (৪০), নানি জাহানারা বেগম (৫৫) ও ফুফাতো ভাই ইমাম হোসেনকে (২২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নানি জাহানারা বেগমকে ছেড়ে দেয় এবং বাকি দু’জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। পরে ওই মামলা সিআইডিতে স্থানান্তর করা হলে তারা তদন্ত শুরু করেন।   মা-মেয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক শাহিন মুন্সীকে ২০২১ সোমবার (১২ জুলাই)  গ্রেফতার করে সিআইডি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। বিয়ের আগেই তাদের অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের কারণে বাচ্চার জন্ম হয়। এ নিয়ে পাঁচ মাস কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলতে থাকে। এনিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়।

 ২০২১ সালের ৩০ জুন দুপুরে সুমাইয়ার বাবার বাড়িতে তাদের দাওয়াত ছিল। কিন্তু সাহিন সেখানে যাননি। দুপুরে দাওয়াত খেয়ে সুমাইয়া তার স্বামীর বাড়িতে আসার পর থেকেই নিখোঁজ হন। ঘটনাটি পরদিন থানা পুলিশকে জানালে তারাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেয়। এরপর থেকেই স্বামী সাহিন লাপাত্তা হয়ে যান এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন।

ঘটনার দুই দিন পর ২ জুলাই রাতে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাহিনের মা এবং নানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোনো তথ্য না পাওয়ায় দুই দিনের মধ্যে শিশুকন্যাসহ পুত্রবধূকে খুঁজে আনার জন্য তাদের বলা হয়। এলাকাবাসীকেও অনুসন্ধান করতে বলা হয়। পরে ৩ জুলাই সকালে বাড়ির পাশের মাটি খুঁড়ে মা ও শিশু কন্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বরগুনা সিআইডির উপ-পরিদর্শক সুরজিৎ বলেন, পাথরঘাটার মা-মেয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার সর্বশেষ আসামি রিমনকে আটকের পর আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, ৯ এপ্রিল, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।