মাগুরা: বাংলা পঞ্জিকায় শেষ দিন ‘চৈত্র সংক্রান্তি’। বুধবার (১৩ এপ্রিল) শেষে সমাপ্তি ঘটবে ১৪২৮।
এরই ধারাবাহিকতায় মাগুরায় মেলা, গাজন ও পূজার আয়োজন করা হয়। সন্ন্যাসীরা কাঠের তৈরি দেল নিয়ে বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা ও গ্রামে ঘুরে নেচে গেয়ে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের মতে, বাংলা মাসের শেষ দিন শাস্ত্র ও লোচাকার অনুসারে দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকে পূণ্য কাজ বলে মনে করা হয়।
বিকেলে বাটিকাডাঙ্গা ঠাকুরবাড়ি পূজা মন্দিরে পূজা হয়। এ সময় সন্ন্যাসীরা খালি পায়ে কাঁটাযুক্ত খেঁজুর গাছে ওঠেন। যেটা চৈত্র সংক্রান্তির পূজার মূল আর্কষণ।
পূর্ণিমা অধিকার বলেন, হিন্দুরা চৈত্র সংক্রান্তিতে উপবাস থেকে শিব ঠাকুরের আসনে ফুল, ফল, ডাবের জল ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে অঞ্জলি দেন। শিব ঠাকুরের আরেক নাম ‘নীলকণ্ঠ’ তাই এই পূজা নীলকণ্ঠ পূজাও বলা হয়।
সন্ন্যাসী শুভ দত্ত বলেন, আদিকাল থেকে রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা ও মানব কল্যাণের জন্য চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে শীবের আরাধনা করা হয়। এজন্য গোটা চৈত্র মাসে সন্ন্যাসীরা নিরামিশ ভোজন ও মাসের শেষ সপ্তাহ ধরে সারাদিন উপবাস থেকে রাতে শুধু ফল খেয়ে থাকেন। এভাবে উপবাস থেকে চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ ধরে সন্ন্যাসীরা কাঠের তৈরি দেল নিয়ে পাড়া, মহল্লা ও গ্রামের পর গ্রাম পায়ে হেঁটে নেচে গেয়ে ভগবান শিবের আরাধনা করেন। চৈত্র মাসের শেষ দিন শিব পূজা বা চড়ক পূজার মধ্যে দিয়ে এর পরিসমাপ্তি ঘটে।
বাটিকাডাঙ্গা চৈত্র সংক্রান্তির পূজার সভাপতি মোহন লাল রায় খোকন ঠাকুর বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এখানে পূজা হয়ে আসছে। বিশেষ করে হিন্দু নারীরা উপবাস থেকে পূজায় অংশ নেয়। এছাড়া সন্ন্যাসীরা একটি মাস তারা শিব ঠাকুরের আসন নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরেন। শেষ দিনে সন্ন্যাসীরা খালি পায়ে কাঁটাযুক্ত খেজুর গাছে ওঠেন। রাতে অনুষ্ঠিত হবে জলন্ত আগুনের ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া। গত দুই বছর সীমিত পরিসরে পূজার আয়োজন করেছিলাম এ বছর ঘটা করে পূজার আয়োজন করেছি। এখানে পূজা দিতে আসেন আশপাশে গ্রামের মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এনটি