হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে টিকিট কালোবাজারীদের তালিকা থাকার পরও তাদের গ্রেফতার না করায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় রেলওয়ে পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। কালোবাজারীদের বিপরীতে এ কর্মকর্তার অবস্থান নিয়েও সভায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা টিকিট কালোবাজারের বিষয়টি উত্থাপন করেন। এ সময় জংশনে দায়িত্বরত রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ হারুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, রেলওয়ে স্টেশনের অভ্যন্তরে পান, সিগারেট ও পানি বিক্রির আড়ালে টিকিট কালোবাজারী করা হয়। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের কাছে কালোবাজারীদের তালিকাও রয়েছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগসাজস থাকার কারণে তিনি কালোবাজারীদের আইনের আওতায় আনছেন না।
এ সময় উপস্থিত কয়েকজন সদস্য জানান, অনলাইনে টিকিট কাটার নির্দিষ্ট সময় শুরুর পর দ্রুত সময়ের মধ্যে কালোবাজারীরা কাউন্টারে কর্মরতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অধিকাংশ টিকিট কিনে নেয়। পরে সেগুলো উচ্চমূল্যে কালেবাজারে বিক্রি করা হয়। রেলওয়ে জংশন পার্কিংয়ে অবৈধভাবে যানবাহন রাখা নিয়েও বক্তারা অভিযোগ তোলেন।
সভায় উপস্থিত রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুনুর রশিধ দ্রুত কালোবাজারীদের আইনের আওতায় আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। জংশনটিতে ৭ জন কালোবাজারী নিয়মিত অবস্থান করে বলে জানিয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব। তিনি তাদের তালিকাও সংগ্রহ করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজিউর রহমান ইমরান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাসহ অন্যান্যরা এতে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
নিউজ ডেস্ক