কক্সবাজার: কক্সবাজার অভিযান চালিয়ে শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী মুন্না গ্রুপের প্রধান মুন্নাসহ ২৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি তারা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান। এদিকে এ বিষয়ে বিকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন পুলিশ সুপার। ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর প্রধান মুন্নার বাড়ি কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়ার বাঁচামিয়ারঘোনা এলাকায়। এক সময়ের শহরের আতঙ্ক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর জোহারের সন্ত্রাসী বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করতেন মুন্না। তারা শহরের পাহাড়তলী, এবিসিঘোনা, বাঁচামিয়ারঘোনা, সাহিত্যিকাপল্লী, রুমালিয়ারছড়াসহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় ছিনতাই, মাদক কারবার, জমি দখলসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
পরে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর শহরের পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লী সমিতি বাজার সংলগ্ন ব্রিজের নিচ থেকে নুর জোহারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নুর জোহারের মৃত্যুর পর রুমালিয়ারছড়ার আরেক সন্ত্রাসী রশিদ ড্রাইভারের ছেলে আবছারের সঙ্গে নতুন সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন মুন্না। কিন্তু সেই বাহিনীও টেকেনি। নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে ২০২১ সালের শুরুর দিকে আবছারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মুন্না আবারও নতুন বাহিনী গড়ে তোলেন। তবে গত মাস দুয়েক আগে সন্ত্রাসী আবছারকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে আবছার কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে আবছারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর নতুন বাহিনী গড়ে তুলতে ছালেহ আহমেদ, হাবিবুল্লাহ, খাইরুল আমিনসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মুন্নাকে সঙ্গ দেন। তাদের সহযোগিতায় প্রায় ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলা হয়। এরমধ্যে দুই মাস আগে খাইরুল আমিন পুলিশের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শহরের পর্যটন স্পটসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত এই বাহিনী।
এসপি হাসানুজ্জামান বলেন, মুন্নার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, হত্যাসহ ১৯ টি মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
এসবি/এসআইএস