খুলনা: পাকা কাঁঠাল, তরমুজ, বাঙ্গি, পেয়ারা, সফেদা, বেতফল, কলা, পেঁপে, আতা, লেবু, বেল, শশা, খিরাই, আনারস, ডাবসহ হরেক রকম ফলের সমাহার। সতেজ ও বিষমুক্ত এসব দেশি ফলের দেখা মিলছে খুলনার হেলাতলার মোড়ে।
অন্যান্য বাজারের তুলনায় এখান থেকে তাজা ফল কেনা যায়। কেননা এখানে ফল আসে খুলনা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন গ্রাম থেকে। নতুন ওঠা দেশি ফলের দাম বেশ চড়া হলেও ইফতারে একটু স্বস্তির আশায় অনেকেই তা কিনছেন। তবে দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে পারছেন না। এরপরও অনেকে ইফতারের প্লেটে একটি বা দুটি ফল রাখার চেষ্টা করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বড় বাজার সংলগ্ন হেলাতলার মোড়ে প্রায় ২০-৩০টি অস্থায়ী ফলের দোকান বসেছে। বৈশাখের প্রচণ্ড খরতাপে নাভিশ্বাস অবস্থায় রোজাদাররা বাহারি এসব ফল কিনছেন। রমজানে পানিশূন্যতা, লবণ শূন্যতা ও বদহজম যেন না হয় সেদিকে নজর দিতে হচ্ছে বেশি সবাইকে। গরমকালের প্রতিটি ফলে রয়েছে পুষ্টিগুণ, যা শরীরের জন্য উপকারী। লম্বা সময় রোজা রাখার পর দিন শেষে তাই ভাজাপোড়া ইফতার পরিহার করছেন সচেতন রোজাদাররা। অনেকেই ঝুঁকছেন ফলমূলের দিকে। বিশেষ করে দেশি ফল।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জিয়াউল হক জিয়া বাংলানিউজকে বলেন, খুলনার কোথাও দেশি ফল আসলে আগে হেলাতলার মোড়ে পাওয়া যায়। তাই নতুন কোন ফল কিনতে হলে এখানে আসি। টাটকা ও সতেজ ফল এখানে পাওয়া যায়। তাই অফিস শেষে এখন থেকে ফল নিয়ে বাসায় যাই।
ফল বিক্রেতা আসিফ সরদার বলেন, এখানে বেচা-কেনা ভালই হচ্ছে। পেঁপে ১০০ টাকা কেজি, সফেদা ৯০ টাকা কেজি, আতা ১২০ টাকা কেজি, বেতফল ১০০ গ্রাম ৫০ টাকা, বেল আকার ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
রবিউল ইসলাম নামে এক ডাব বিক্রেতা বলেন, বটিয়াঘাটার খারাবাদ বাইনতলা থেকে ডাব নিয়ে এসেছি। প্রতি পিস ডাব আকার ভেদে ৭০, ৮০, ৯০ টাকায় বিক্রি করি। ইফতারের পর ডাব বেশি বিক্রি হয়।
মো. সুজন নামে এক ফল বিক্রেতা বলেন, রমজানে কলা, পেঁপে, বেল, তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস ও খিরাই বেশি বিক্রি হচ্ছে। গ্রামের হাঁট থেকে টাটকা ফল কিনে এনে এখানে বিক্রি করা হয়। এসব ফলে কোনো ফরমালিন দেওয়া হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড