ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ত্রিশালে আদালতে বিচারাধীন দুইটি হত্যা মামলার জের ধরে আবারও এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. আবুল কালাম আজাদ (৫৮)। তিনি উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের জামতলী গ্রামের বাসিন্দা মৃত হাছেন আলী আকন্দের ছেলে।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহত আবুল কালাম আজাদের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
এর আগে, ১৪ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে নিহত আবুল কালাম আজাদকে কুপিয়ে জখম করে স্থানীয় সন্ত্রাসী তফাজ্জল হোসেন, আ. কাদির জিলানী ও তাদের লোকজন। পরে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা মো. সোহাগ বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ইতোমধ্যে ওই মামলায় মূসা আহম্মেদ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ও দপ্তরি রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার জের ধরে আবুল কালাম আজাদকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আগের দুটি হত্যা মামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।
নিহত আবুল কালামের ভাতিজা ও মামলার বাদী মো. সোহাগ বাংলানিউজকে জানান, আগামী ২৪ মে বিজ্ঞ আদালতে মতিন মাস্টার হত্যা মামলার সাক্ষী শেষ হবে এবং একই দিনে দপ্তরি রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। আমি দপ্তরি রফিকুল হত্যা মামলার একজন সাক্ষী।
ওই মামলায় আমি সাক্ষী হওয়ায় আসামিরা এর আগেও আমার ওপর কয়েক দফা হামলা করেছে। সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল রাতে আমি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় ত্রিমোনী মোড়ে আসামিরা আমার ওপর স্বশস্ত্র হামলা করে। খবর পেয়ে আমার চাচা ও ভাইরা ছুটে এলে আসামিরা আমার চাচা আবুল কালাম আজাদকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
তিনি আরও জানায়, নিহত আবুল কালাম আজাদ সন্ত্রাসী তোফাজ্জল হোসেন ও তার সহোদর ভাই আ. কাদির জিলানীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলার বাদী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২২
এনটি