সাভার (ঢাকা): সাভারে চলন্ত বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর জামা কেটে দেওয়ার অভিযোগে মো. হারুন-অর-রশীদ (৫৩) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়ছে। এ ঘটনায় সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বাসের এক ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন বাসের অন্য যাত্রীরা।
আটক ওই ব্যক্তির নাম মো. হারুন-অর-রশীদ (৫৩)। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার রায়েদ এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ও আরেকজন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন এমবিএর শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, সকাল ১১টার দিকে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক ফটক থেকে ফুফাতো বোনকে নিয়ে ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসে ঢাকার আজিমপুরে ফুফুর বাসার যাওয়ার জন্য উঠি। বাসটি হেমায়েতপুর এলাকায় পৌঁছালে আমি পেছন থেকে শরীরে কিছু একটা স্পর্শের অনুভূতি পাই। বিষয়টি প্রথমে গুরুত্ব না দিয়ে একটু সামনে ঝুঁকে বসি। পুনরায় আমি একই অনুভূতি পেলে পেছনে হাত দিয়ে দেখি জামার বেশ কিছু অংশ কাটা।
তিনি বলেন, এ সময় পেছনের সিট থেকে এক ব্যক্তিকে তাড়াহুড়ো করে সিট থেকে উঠে যেতে দেখে চিৎকার দেই। পরে বাসের অন্যান্য যাত্রীদের সহায়তায় হারুনকে আটক করা হয়। কাপড়ের কাটা অংশ দেখে আমি নিশ্চিত হই কাটার দিয়ে আমার এবং পাশের সিটে বসা ফুফাতো বোন উভয়ের জামার পেছনের বেশ কিছু অংশ কেটে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। আটকের পর ওই ব্যক্তিকে হেমায়েতপুর পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২২
এসএফ/এমজেএফ