বরগুনা: বরগুনা নদী বন্দরের ভিআইপি ডাকবাংলোর দু’টি কক্ষে প্রায় নয় বছর ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বসবাস করলেও ভাড়া পরিশোধ করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। বরগুনা নদী বন্দরে কর্মকর্তা কক্ষটি ব্যবহার করলেও সরকার থেকে নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করেনি।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা নদী বন্দরের যে ভবনটি রয়েছে সেটি ভিআইপি ডাকবাংলো কাম কার্যালয়। বিআইডব্লিউটিএ নিয়ম অনুযায়ী ভিআইপি ডাকবাংলো ব্যবহার করলে প্রতিদিন সরকার নিধারিত হারে ভাড়া দিতে হয়। বরগুনা নদী বন্দরের ভিআইপি ডাকবাংলোটি নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ ২০১৪ সাল থেকে ব্যবহার করলেও কোনো ভাড়া দেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক হিসেবে মামুনুর রশিদ বরগুনায় যোগদান করেন ২০১৪ সালে। যোগদানের পর থেকেই তিনি দ্বিতীয় তলায় পশ্চিম পাশে ভিআইপি ডাকবাংলোয় বসবাস করছেন। সেখানে তিনি ব্যক্তিগত এসি লাগিয়ে ব্যবহার করছেন। রান্না ঘরে ফ্রিজ,ওভেন, ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করেন। এছাড়া অফিস সহকারী রফিকুল ইসলামও একটি রুম নিয়ে বসবাস করছেন দীর্ঘদিন।
বরগুনা লঞ্চঘাটের শ্রমিক মো. মিঠু বলেন, নদী বন্দর ভবনের দোতলার পশ্চিম পাশে একটি কক্ষে স্যার (বন্দর কর্মকর্তা) বসবাস করছেন। সেখানে একটি এসিও লাগানো আছে। আরেকটি কক্ষে রফিকুল ইসলামও থাকেন।
অভিযোগের বিষয়ে বরগুনা নদী বন্দরের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে আপনি বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলুন। আপনি যে রুমে থাকেন সেখানে ব্যক্তিগত এসি ব্যবহার করছেন কিন্তু কোনো বিদ্যুত বিল দেন না এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটি নিয়ে আপনি কেন বাড়াবাড়ি করছেন? বলেই ফোনটি কেটে দেন।
বরিশাল বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী(পুর) মামুন অর রশিদ বলেন, বরগুনা নদী বন্দর ভবনটি ভিআইপি ডাকবাংলো কাম অফিস। ভিআইপি ডাকবাংলোটি বরগুনা বন্দরের কর্মকর্তা ব্যবহার করলেও অদ্যাবধি কোনো ভাড়া পরিশোধ করেননি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ এর বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজ বলেন, ডাকবাংলো ওখানে থাকার কথা না। ওখানে যে থাকবেন সে রেজিস্টার মেইনটেন করবেন। কেউ যদি ভাড়া পরিশোধ না করে থাকেন নিশ্চয়ই অডিট হওয়ার কথা। নির্বাহী প্রকৌশলী তাকে জানিয়েছেন কিনা বা ভাড়ার রশিদ দিয়েছেন কিনা তা আমি জানি না। নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে আমি জানাতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
এসআইএস