নীলফামারী: যানজট, মানুষ, ইজিবাইক, রিকশার জটলা। এই নিয়ে উত্তরের বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর।
উত্তরের সৈয়দপুরে পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের খানসামা, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, রানীরবন্দর, রংপুরের তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, লালদীঘি, সয়ার, ভীমপুর প্রভৃতি এলাকার লোকজন ও রিকশা ভ্যান শহরে প্রবেশ করায় যানজট লেগে থাকে। কিন্ত এবার রমজান মাসে সৈয়দপুর ট্রাফিক পুলিশ কঠোর অবস্থান নেয়। শহরের ফুটপাথ দখলমুক্ত করে। দিনের বেলায় শহরে কোনো ট্রাক ঢুকতে দিচ্ছে না। শহরে প্রবেশকারী ইজিবাইক, রিকশা ও ভ্যান রিকশাকে শহরের প্রবেশ মুখে রাখছে। ফলে ব্যস্ত শহরে নেই কোনো যানজট।
শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ ক্যাপ্টেম মীঢ়ধা সামসুল হুদা সড়ক, শহীদ তুলশিরাম সড়ক, শহীদ ডা. শামসুল হক সড়ক, শহীদ জহুরুল হক সড়ক ঘুরে দেখা যায় সব ফাঁকা ফাঁকা। সড়কে ভারী যানবাহন নেই। এমনকি ব্যক্তিগত গাড়িও পার্কিং করার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) চৌধুরী নাহিদ পারভেজ জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন কাজ। তবুও মানুষের স্বস্তির
বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটু কঠোর হতে হয়েছে। আমাদের টিমে রয়েছেন মাত্র ২০ জন সদস্য। সীমিত লোকবল নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সারারাত ধরে শহরে বেচাকেনা হয়। তিনি বলেন, ফুটপাথগুলো মানুষের চলাচলের জন্য রাখা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও পৌর পরিষদ যানজট ও ফুটপাথ দখলমুক্ত রাখতে সার্বিক সহযোগিতা করছে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হুসাইন জানান, ট্রাফিক পুলিশের কারণে শহর যানজট মুক্ত হওয়ায় সম্প্রতি আইনশৃংখলা ও সন্ত্রাস এবং নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভায় কাজের প্রশংসা করা হয়েছে। মানুষের কষ্ট লাঘবে তারা কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
এসআইএস