লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলাকে মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য মসজিদে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) জুমাতুল বিদায়ের দিনে দুই উপজেলার শতাধিক মসজিদে দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান বাংলানিউজকে বলেন, নদীতে বাঁধ কবে হবে তা অনিশ্চিত। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা চাইলে আজই আমাদের এ ভাঙন থেকে রক্ষা করতে পারেন। পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমায় দোয়া কবুলের এই বিশেষ মুহূর্তে আমরা দুই উপজেলার সব মসজিদ থেকে একযোগে চোখের পানি ফেলে আল্লাহর রহমত কামনার মাধ্যমে আমাদের স্মৃতি বিজড়িত প্রিয় মাতৃভূমি, বসতভিটা এবং পূর্ব পুরুষের কবর রক্ষার জন্য প্রার্থনা করি।
তিনি বলেন, বর্ষা ঘনিয়ে আসছে। নদী ভাঙনও তীব্র আকার ধারন করছে। সরকার তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজের বরাদ্দ দিলেও এ মুহূর্তে বাঁধের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। তাই বাঁধ কবে শেষ হবে, তা অনিশ্চিত। জুমার নামাজের শেষে অনুষ্ঠিত দোয়া মোনাজাতে সরকার প্রধান এবং বাঁধ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য দোয়া কামনা করা হয়। তারা যেন দ্রুত বাঁধ নির্মাণের সুদৃষ্টি দেয়।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর বড়খেরী, লুধুয়াবাজার এবং কাদিরপন্ডিতেরহাট বাজার’ তীররক্ষা প্রকল্প নামের ৩৩.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটি ২০২১ সালের ১ জুন পাস করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। গত ৯ জানুয়ারি দুটি লটের কাজ উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক। কিন্তু উদ্বোধনের পর কাজ শুরু না হতেই বন্ধ করে দেয় দায়িত্বরত ঠিকাদার। বালু সংকটের অজুহাত দেখিয়ে তারা কাজ বন্ধ রেখেছে। এতে চরম অনিশ্চয়তার মধে পড়েছে মেঘনা পাড়ের বাসিন্দারা।
রামগতি এবং কমলনগর উপজেলার বাসিন্দাদের দাবি ছিল, তীররক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে না করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে তারা মানববন্ধন ও বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপিও দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২২
আরএ