খুলনা: অর্থ পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনিরুজ্জামান (যুগ্ম মহানগর-২) জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মুজিবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জামিনের মেয়াদ শেষ হলে সাবেক ওসি আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী পারুল বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন তারা। উচ্চ আদালত তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমার্পণের নির্দেশ দেয়। তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমার্পণ করলে উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, মামলায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩৪ লাখ টাকার দুর্নীতি ধরা পড়লেও তদন্তে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসহ সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিকের আরও প্রায় ৫১ কোটি টাকার অবৈধ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি পাওয়া গেছে। যা মামলার এজাহারে সম্পৃক্ত হবে।
এর আগে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর দুদকের খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন।
পুলিশ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক খুলনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতের কোর্ট পরিদর্শক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চুলকাঠি এলাকায়।
জানা যায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬ (২), ২৭ (১) ধারায় ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (১) ও ৪ (২) ধারায় সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রীর নামে দুদকে দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে আয় বহির্ভূত ৩৩ লাখ ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুদক ৮/২১ নম্বর মামলা এবং ওই সম্পদ স্ত্রী পারুলকে হস্তান্তরের অভিযোগে পারুল এবং আবু বকর সিদ্দিকের নামে দুদক মামলা দায়ের করে।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর মামলা দুটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২২
এমআরএম/আরআইএস