রাজবাড়ী: গ্রামের বাড়িতে প্রিয়জনের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে জীবিকার তাগিদে আবারও রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষজন।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে তাই ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদের আগে থেকেই ২১টি লঞ্চ ও ২১টি ফেরিতে চলছে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার। বর্তমানে লঞ্চ ও ফেরিতে পদ্মা নদী পারি দিয়ে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ।
ঈদ যাত্রী ও যানাবহন পারাপারে এ নৌরুটে ১১টি রো রো ফেরি, সাতটি ইউটিলিটি ফেরি, দু’টি ড্রাম ফেরি, একটি ছোট ফেরিসহ মোট ২১টি ফেরি চলাচল করছে। পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে ২১টি লঞ্চ চলছে।
তবে আগামী দু’দিন ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা ঘাট সংশ্লিষ্টদের।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঈদের আনন্দ উদযাপন শেষে জীবিকার তাগিদে আবারও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। তবে দৌলতদিয়া ঘাটে এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়নি।
লঞ্চঘাটে কথা হয় কুষ্টিয়া থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় ফেরা মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে ঈদের আগের দিন এসেছিলাম। এখন আবার ঢাকায় ফিরছি।
মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকায় ফিরছেন ব্যবসায়ী শফিক শেখ। তিনি বলেন, বাইক চালিয়ে ঈদের আগে বরিশালে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম। বাবা মা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেছি। বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করেছি। এখন আবার মোটরসাইকেল চালিয়ে ফিরছি। বাসে চলাচল থেকে মোটরসাইকেলে অনেক সাশ্রয়ী ও সুবিধা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বাংলানিউজকে জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সর্বশেষ কৃষ্ণচূড়া নামে একটি ইউটিলিটি ফেরি নৌরুটে যুক্ত হওয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ফেরি চলাচল করছে এবার। বর্তমানে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৯টি ফেরি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলছে। আরও দু’টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যানবাহনের চাপ বাড়লে সে দু’টিও চলাচল করবে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২২
এসআরএস